ঢাকাগামী ৭ বাসে হামলা খাগড়াছড়িতে
খাগড়াছড়ির গুইমারায় ঢাকাগামী সাতটি নৈশকোচে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মহাসড়কের পাশের জঙ্গল থেকে হঠাৎ এসে হামলা চালিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের শেষ দিন সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে হামলাকারীদের পরিচয় ও হামলার কারণ সম্পর্কে পুলিশ বা অন্য কেউ কিছু জানাতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া রবি এক্সপ্রেস, শ্যামলী ও শান্তি পরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহনের নৈশকোচগুলো মাটিরাঙ্গা পার করে গুইমারা থানাধীন বাইল্যাছড়ি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ রাস্তায় এসে গাড়িগুলোর ওপর হামলা চালায়। তারা চলন্ত গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় পর পর আসা সাত-আটটি নৈশকোচ হামলার শিকার হয়। এতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। আকস্মিক হামলায় নৈশকোচের ঘুমন্ত যাত্রীরা জেগে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। চালকরা সাহসিকতায় গাড়িগুলো দ্রুতগতিতে চালিয়ে গুইমারার জালিয়াপাড়ায় নিয়ে আসেন।
ভাঙচুরের শিকার রবি এক্সপ্রেসের সুপারভাইজার মো. রাফি আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের একটা গাড়ি এসকর্ট দিয়ে খাগড়াছড়ির জিরো মাইল থেকে আমাদের নিয়ে যাচ্ছিল। পথে মাটিরাঙ্গা বাইল্যাছড়ি এলাকায় পুলিশের গাড়ি থেকে বেশ কিছু যাত্রীবাহী গাড়ির দূরত্ব তৈরি হয়। হঠাৎ সড়কের ডানপাশে থাকা দুর্বৃত্তরা এসব গাড়িতে হামলা করে। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলায় গাড়ির সামনে বসা একজন যাত্রী আহত হয়েছেন। গুইমারা বিজিবি হাসপাতালে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলায় তাদের গাড়ির এক লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। হামলার পর গুইমারা থেকে বিজিবির পাহারায় সব গাড়ি রামগড় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
গুইমারা থানার ওসি রাজীব চন্দ্র কর বলেন, ‘রাতে রবি এক্সপ্রেস, শ্যামলী পরিবহন, শান্তি পরিবহনসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা দিকে যাত্রা করেছিল। বাসগুলো বাইল্যাছড়ি এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা সেগুলোতে হামলা করে। এ সময় সাতটি বাস ভাঙচুর করা হয়। দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা ইট-পাটকেলের আঘাতে বাসগুলোর সামনের গ্লাসসহ জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা রাস্তার পাশের জঙ্গল থেকে হঠাৎ এসে হামলা চালিয়ে আবার জঙ্গলে পালিয়ে যায়। চোরাগোপ্তা হামলা করায় তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার বা চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’