জাতীয়

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। বিভাগ অফিসে পরামর্শের জন্য গেলে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে ডেকে নেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীর আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে এসব কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ নতুন নয়। তার বিরুদ্ধে ক্লাসে নারী শিক্ষার্থীদের দৈহিক সৌন্দর্য, দৈহিক গঠন, ছাত্রীদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গের বিষয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করলে তার সমর্থক শিক্ষকসহ নম্বর কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

এছাড়াও আপত্তিকর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইনস্টিটিউটের নারী শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত ১১ নভেম্বর হলের বিষয়ে পরামর্শ নিতে আমি এক শিক্ষকের কাছে যাই। ওনাকে না পেয়ে আমি হল অফিসের সামনে অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় অধ্যাপক নুরুল ইসলাম স্যার নিজ থেকে আমাকে তার কক্ষে ডেকে নেন। আমি নবাগত শিক্ষার্থী বলে ওনার ব্যপারে তেমন কিছুই জানতাম না। প্রয়োজনীয় দুই-একটি কথা বলার পর উনি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে শুরু করেন। আমার বাবা মৃত জানার পর উনি আমাকে নানারকম সাহায্যের প্রলোভন দেখান এবং বলেন, আমি যেন তার সাথে দেখা করি, বই নেই এবং তার সাহায্যের বিষয়ে কাউকে না বলি। তিনি আমার ফোন নম্বর নেন এবং একপ্রকার জোর করেই আমার মেসেঞ্জারে যুক্ত হন। ’

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘কিছু সময় পর তিনি আমাকে পুনরায় কল করে তার সঙ্গে দুপুরের খাবার অথবা হালকা চা-নাস্তা করতে বলেন। ঘটে যাওয়া বিষয়টি যাতে কাউকে না বলি সে বিষয়ে ফোনে বারবার নিষেধ করেন। আমি মানসিক আঘাত থেকে বের হতে না পেরে দেশের বাড়ি চলে আসি এবং এখনও পাঠগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছি। ইনস্টিটিউটের শিক্ষকের দ্বারা যৌন নিপীড়িত হয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *