চট্টগ্রাম

তলিয়ে যাওয়া স্লুইচ গেটে তিন বছর ধরে ভোগান্তি, চাষাবাদ ব্যাহত

আনোয়ারায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কেঁয়াগড় –বাঘখাইনের তলিয়ে যাওয়া স্লুইচ গেট দিয়ে জোয়ারের পানি উঠানামা করায় ভোগান্তি চরমে উঠেছে। গত তিন বছর ধরে বাঘখাইন মোল্লাপাড়া আনোয়ারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কয়েক শ’একর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না। বর্ষাকালে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হয়। ফলে এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টের শেষ নেই।

বাঘখাইন মোল্লাপাড়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। এলাকাবাসী জানে না কখন স্লুইচ গেটটি হবে। বর্তমানে মোল্লাপাড়ার বাসিন্দারা নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে। বর্তমানে স্লুইচগেটটি নির্মাণ না হওয়ায় বর্ষাকাল ছাড়াও প্রতি পূর্ণিমায় জোয়ারের পানিতে কেঁয়াগড়, ইছামতি, সিংহরা ও চাতরী গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যায়। যার ফলে জলাবদ্ধতার শিকার স্থানীয়দের দুর্ভোগের শেষ নেই। এই এলাকার কয়েক শ’একর জমি চাষাবাদ হচ্ছে না।

স্থানীয় বাঘখাইন মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা অজিত বিশ্বাস জানান, জোয়ারের পানিতে স্লুইচ গেটটি তলিয়ে যাওয়ার পর গত ৩ বছর ধরে মোল্লাপাড়ার দুইশত পরিবার উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এলাকার বৃদ্ধ, প্রসূতি নারী শিশুরা অনেক কষ্টে যাতায়াত করছেন। বর্ষাকালে শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। মোল্লাপাড়ায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এলাকার ছেলেমেয়েদের পড়ালেখাও হুমকিতে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ৩ বছর ধরে জোয়ারের পানি উঠানামার কারণে কয়েক শত একর জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। ফসলি জমি ভাঙনের শিকার হয়ে খালে পরিণত হচ্ছে। চাষাবাদ ছাড়াও রবিশষ্যের আবাদও ব্যাহত হচ্ছে। মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ শিকলবাহা খালের দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারায় তাদের বসবাস হলেও ভৌগলিক কারণে তারা পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় প্রশাসনিক ভাবেও তারা সুবিধা বঞ্চিত। গত ৩ বছর ধরে তারা মানবেতর জীবন যাপন করলেও দেখার কেউ নেই।

আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, স্লুইচ গেট তলিয়ে যাওয়ার পর থেকে এই এলাকায় কৃষির আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ জানান, স্লুইচগেটটি নির্মাণের জন্য বর্তমানে প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *