দেশজুড়ে

তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ

তিন বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধ আছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। ফলে আদালতের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাকি কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা নিয়ে এখন আদালতের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন সংশ্লিষ্টরা।

হঠাৎ করেই শ্রমিক শূন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মগবাজার অংশ। নেই কোন নির্মাণ যজ্ঞ। পড়ে আছে এক্সপ্রেস ওয়ের কাঠামো।

কথা ছিলো চলতি বছরই শেষ হবে অগ্রাধিকার মূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। এই সময় কাজ চলার কথা দ্রুত গতিতে। কিন্তু কেনো প্রকল্পের বন্ধ হলো তা নিয়েই প্রশ্ন।

থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড মিলে করছিলো এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। এই কাজে তিন প্রতিষ্ঠান শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।

প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু ঠিকাদারি তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলা দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ। সেই সাথে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।

সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, সেই কোম্পানির অংশীদার যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে কিছু আইনগত বিষয় নিয়ে মামলা রয়েছে। সেই মামলা দুটি যায়গায় চলমান রয়েছে। থাইল্যান্ডের একটি কোম্পানি এবং একটি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশের আদালতেও মামলা করেছে। এ মামলার কারণে কাজের গতি কিছুটা কমেছে। কিন্তু কাজ এখনও চলছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই চীনা অংশীদারি প্রতিষ্ঠান সমস্যা সমাধানের চাইতে ইতাল থাইয়ের শেয়ার নিতে আগ্রহী বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *