তুই আম্বানি নাকি ভিখারি
যার প্রাক-বিয়ের আয়োজনেই রেকর্ড গড়েছেন বাবা মুকেশ আম্বানি, জামনগরে তুলে এনেছেন ভারতসহ বিশ্বের ধনীদের। যার ঘড়ি দেখে চোখ কপালে তুলেছিলেন ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গও। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে যেনে নিয়েছেন ঘড়ির আদ্যপান্ত। শুধু তাই নয় ছোট আম্বানির পোশাক, গাড়ির তথ্য জেনে বিস্মিত হচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। অথচ সেই ছেলেটিই নাকি স্কুলে পেয়েছিলেন ভিখারি তকমা।
সত্যিই কি এমনটা হয়েছিলো? অনন্ত ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির আদরের ছোট ছেলে। যার বক্তব্য শুনে কেঁদে ভাসিয়েছেন বাবা মুকেশ। যে কিনা তিন হাজার একর জায়গাজুড়ে দিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণী পূনর্বাসন কেন্দ্র বনতারা। সেই অনন্তকে কেন তাঁর স্কুলের বন্ধুরা এভাবে উত্যক্ত করতে যাবে?
এর পেছনে রহস্যটাই বা কি? তবে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, অনন্ত নাকি স্কুলজীবনে হাতখরচ হিসেবে সপ্তাহে পেতেন পাঁচ রুপি। এক কারণে বন্ধুরা তাঁকে বলতো, তুই আম্বানি নাকি ভিখারি। অনন্ত পড়ালেখা করেছেন বাবা মুকেশের মালিকানাধীন ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে।
মুকেশে বাবা ছিলেন ধীরুভাই আম্বানি। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা। অথচ দাদার স্কুলেই তাঁকে উত্যক্ত করেছেন সেখানে পড়তে আসা বন্ধুরা। পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে অনন্তের মা নীতা আম্বানি জানান, তিন সন্তান আকাশ, ইশা ও অনন্তকে অর্থের মূল্য শেখাতে স্কুলজীবনে মাত্র পাঁচ রুপি হাতখরচ দেয়া হতো।
ক্যান্টিনে খরচের জন্য এতো কম হাতখরচ পাওয়ায় স্কুলে অনন্তকে উপহাস করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি জানতে পেরে হেসেছিলেন বাবা-মা। ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারের সন্তান হবার পরেও আকাশ, ইশা ও অনন্ত তাঁদের নম্র আচরণ-ব্যবহারের জন্য বেশ পরিচিত।
পরবর্তীতে অনন্ত যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করেছেন। তিনি এখন রিলায়েন্সের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের ব্যবসা দেখভাল করেন। রিলায়েন্স নিউ সোলার এনার্জির পরিচালক পদে আছেন ছোট আম্বানি। ধারণা করা হচ্ছে, অনন্তের মোট সম্পদ ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।