চট্টগ্রাম

তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবি

সাঙ্গু নদীর ওপর নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন।

রোববার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বলেন, বাঁশখালীর সাঙ্গু নদীর ওপর সম্পূর্ণ দেশিয় অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে তৈলারদ্বীপ সেতু। ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি সেতুটি উদ্বোধন হয়।

প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে। ৩ বছরের ইজারা দিয়েই যেখানে নির্মাণ ব্যয় উঠে যায়, সেখানে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জনগণের অধিকারের পরিপন্থি। বাংলাদেশ গ্যাজেট, ২০১৪ এর সংশোধিত প্রজ্ঞাপন, টোল নীতিমালা অনুযায়ী, ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও অনুন্নত আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনার প্রেক্ষিতে টোল মওকুফের বিধান থাকলেও এই সেতুর ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। একটি সেতুতে টোল আদায় করা হয় সেতুর নির্মাণ ব্যয় এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। সেই বিবেচনায় দেখা যায়, তৈলারদ্বীপ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৩২ কোটি টাকা। কিন্তু প্রতি ৩ বছরে এ সেতু থেকে টোল আদায় হয় ৩০-৩৫ কোটি টাকা। অথচ সেতু নির্মাণের পর থেকে কোনো ধরনের দৃশ্যমান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ চোখে পড়েনি।
সাঙ্গু নদীর ওপর বিভিন্ন এলাকায় আরও ৫টি সেতু থাকলেও শুধু তৈলারদ্বীপ সেতু থেকেই টোল আদায় করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। যা বাঁশখালীর মানুষের সাথে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করছেন তারা।

এছাড়াও কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত শাহ আমানত সেতুর চেয়ে তৈলারদ্বীপ সেতু তুলনামূলক ছোট সেতু হলেও দ্বিগুণ টোল দিতে হয় এ সেতুতে। রাতে চলাচল করা দূরপাল্লার যানবাহন থেকে টোকেনবিহীন অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

সেতুটি টোলমুক্ত করা হলে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এ অঞ্চলের সমুদ্র বাণিজ্য ও শিল্পোন্নয়নের অপার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *