থানার সামনে অস্ত্র হাতে যুবদল নেতার ছবি ভাইরাল
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তাহসিন জামান রোমেলের প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে নিয়ে তোলা একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। গত ৭ আগস্ট রোমেল নিজেই ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করেন এবং কিছুক্ষণ পর আবার ডিলিট করে দেন। কিন্তু, ততক্ষণে ছবিটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ছবিতে দেখা যায়, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজধানীর ভাটারা থানায় আগুন দেয়। সেই জ্বলন্ত থানার সামনে প্রকাশ্যে একটি ভারী অস্ত্র নিয়ে ছবি তোলে যুবদল নেতা তাহসিন জামান রোমেল। ছবিটি নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মী ও জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাহসিন জামান রোমেল মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড এলাকার আবু জাফরের ছেলে ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব। তার চাচা সিদ্দিকুর রহমান বাদশা মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইরাস চেয়ারম্যান। আরেক চাচা শাহাবুদ্দিন মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লিগের উপদেষ্টা ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজধানীর ভাটারা থানায় আগুন দেয়। সেখানে মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তাহসিন জামান রোমেলের অস্ত্র হাতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে বোঝা যায় রোমেল সেখানে ছিল এবং সহিংসতায় অংশ নিয়েছে। তার এমন কাজে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তার পরিবারের লোকজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ধারণা করছি, তাদের মদদে সে এমন কাজ করতে পারে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, তাহসিন জামান রোমেল ৫ আগস্টের পর থেকে দলের নির্দেশনা অমান্য করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মঠবাড়িয়া উপজেলায় হামলা, ভাঙচুর চালাচ্ছে এবং জনমনে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তাহসিন জামান রোমেল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় ঢাকায় ছিলাম। গত ৮ আগস্ট আমি পিরোজপুরে আসি। উপজেলায় হামলা, ভাঙচুরের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আমি কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নেই। কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ করতে পারলে দলীয় যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিব।
অস্ত্র হাতে ছবির বিষয়ে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ঢাকার ভাটারা থানার সামনের সড়কে অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে তা তুলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাকা সেনাবাহিনীর কাছে দিয়ে দেই। এ সময় আবেগের বসে একটি সেলফি তুলে রাখি। পরে সেটা ফেসবুকে পোস্ট করলেও আবার ডিলিট করে দিই। এখন সেই ছবি নিয়ে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন অপপ্রচার চালাচ্ছে।