কর্ণফুলিচট্টগ্রাম

থানাহাজতে হারপিকে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের

বাল্ব কারখানায় চাকরি করেন যুবক। একই কারখানায় চাকরি করেন যুবতীও। কাজের ফাঁকে সহকর্মীর দিকে পরস্পরের দিকে চাহনি, তারপর জানাশোনা রূপ নেয় ভালবাসায়। ফলে বিয়ের জন্য চাপ দেয় প্রেমিকা। এ নিয়ে রাস্তায় দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া। বখাটে নারীকে উত্যক্ত করছে মনে করে যুবককে আটক করে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে আটকে রাখে থানার হাজতখানায়। ঘটনা এখানে শেষ নয়, সেখানে বাথরুমে যায় ওই যুবক। চোখে পড়ে কমেট পরিষ্কার করার জন্য রাখা হারপিকে। নিজের জীবন বিসর্জন দিতে তা ঢকঢক করে খেয়ে নেয়। কিন্তু তিনি মারা যাননি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) এমন একটি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার সৈন্যারটেক এলাকায়।

আটক ওই যুবক মোহাম্মদ আরমান (২১) কর্ণফুলী উপজেলা চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডস্থ মোহসেন পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

কর্ণফুলী থানা ওসি মো. জহির হোসেন জানান, সৈন্যারটেক এলাকায় একটি বাল্ব কারখানায় শ্রমিক হিসেবে চাকরি করেন আরমান নামে ওই যুবক। চাকরি করা কালীন একই কারখানায় এক নারী সহকর্মীর সাথে তার সম্পর্ক হয়। প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে দুজনের মধ্যে ঝগড়ার শুরু হয়। এ সময় স্থানীয়রা আরমানকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ধরে এনে থানার হাজতখানায় রাখেন। সেখানে বাথরুমে রাখা হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আরমান। সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *