দখলমুক্ত হলো পরীর পাহাড়ের প্রবেশপথ
পরীর পাহাড় হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম আদালত ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের আরেক প্রবেশপথ জঞ্জালমুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করেছে প্রায় সাড়ে ৮ শতক সরকারি ভূমি। এর ফলে পরীর পাহাড়ে ওঠানামায় প্রতিদিনকার যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী থানার লালদীঘির পাড়ে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।
পরীর পাহাড়ে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর দায়রা জজ, চীফ জুডিশিয়াল ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ অন্তঃত ৩০টি সরকারি কার্যালয় আছে। প্রতিদিন হাজারখানেক আসামি আদালতে আনা-নেওয়া হয়। আদালতে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবী এবং অন্যান্য সরকারি অফিসের সেবাপ্রার্থী মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষের সমাগম হয় এ পাহাড়ে। কয়েক’শ যানবাহন ওঠানামা করে।
লালদিঘীর পাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসংলগ্ন সড়ক দিয়ে যানবাহন পরীর পাহাড়ে প্রবেশ করে এবং জহুর হকার্স মার্কেটসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে গাড়ি বের হতে পারে। কিন্তু প্রবেশমুখে বিভিন্ন স্থাপনার কারণে সড়কগুলো সরু হয়ে পড়ায় প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। এছাড়া আদালতে আসামি আনা-নেওয়া ও অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি তো আছেই।
সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি খাসজমি দখল করে প্রবেশপথে অধিকাংশ দোকানপাট তৈরি করা হয়েছে। জহুর হকার্স মার্কেট সংলগ্ন সড়কে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত ৬টি দোকান-রেস্তোঁরা উচ্ছেদ করে আমরা ৮.৫১ শতক ভূমি উদ্ধার করেছি। এখন আদালতে ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আসা গাড়ি নির্বিঘ্নে এ রাস্তা দিয়ে নেমে যেতে পারবে।’
একই প্রবেশপথে সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের বিপরীতে আরও অন্তঃত ৩০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে, গত ১১ জানুয়ারি ১৭টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম আদালত ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের মূল প্রবেশপথ জঞ্জালমুক্ত করা হয়। দখলমুক্ত করা হয় প্রায় সাড়ে ১৪ শতক সরকারি ভূমি।