দামি স্কোয়াডে নেইমারের আল-হিলাল, ধারেকাছে নেই মেসির মায়ামি
প্রাপ্য অর্থের চেয়ে অনেক বেশি বেতনে ইউরোপের বিভিন্ন দল থেকে তুরুণ এবং পরিণত খেলোয়াড়দের দলে টেনেছে সৌদি ক্লাবগুলো। অর্থের কারণে সেখানে পাড়ি জমিয়েছেন ফুটবলের অনেক নামী-দামি তারকাই। যেখানে আছে করিম বেনজেমা, নেইমার বা ফিরমিনো-কান্তেদের মত খেলোয়াড়।
এর একটা প্রভাবও দেখা গিয়েছে ফুটবল পরিসংখ্যানভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পোর্টস স্টাডিজ (সিআইইএস) এর পরিসংখ্যানে। স্কোয়াড সাজানোর খরচের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্লাবের তালিকায় উঠে এসেছে সৌদি ক্লাব আল-হিলালের নাম। নেইমার জুনিয়ারকে দুলে নিতেই ১০০ মিলিয়ন ইউরো খসিয়েছে ক্লাবটি। অ-ইউরোপীয় ক্লাবের বিচারে এই মুহূর্তে সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্কোয়াড তাদের।
মূলত পুরো ইংলিশ লিগের চিত্রটাই এমন। শীর্ষ ১০ ক্লাবের ৮টিই ইংল্যান্ডের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, ম্যানচেস্টার সিটির পর আছে আর্সেনাল, টটেনহাম হটস্পার, লিভারপুল, নিউক্যাসল ইউনাইটেড এবং ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডের নাম।
নেমে গিয়েছে বার্সা, উত্থান সৌদি ক্লাবের
মহামারি করোনার সময় থেকে আর্থিক সংকটে পড়েছিল স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। লিওনেল মেসিকে আরও একবার দলে টানতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে এই আর্থিক কাঠামোর জন্য। নতুন খেলোয়াড় কেনার দিক থেকেও পিছিয়ে কাতালুনিয়ান জায়ান্টরা। তালিকায় তারা আছে ১৯ নম্বরে। শীর্ষে থাকা ইউনাইটেড শুধু ডিফেন্ডার কিনতেই বার্সার পুরো স্কোয়াডের চেয়ে বেশি খরচ করেছে।
বার্সেলোনার এমন পতনের সময়ে উত্থান ঘটেছে সৌদি ক্লাবগুলোর। ৩৮২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে শীর্ষে বিশে একমাত্র অ-ইউরোপিয় ক্লাব হয়েছে আল-হিলাল। সেরা পঞ্চাশেই আছে এই লীগের আরও তিন ক্লাব। আল-আহলি স্কোয়াড মূল্যের তালিকায় ৪৪তম স্থানে রয়েছে। ক্রিশ্চিয়ান রোনালদোর আল-নাসর আছে ৪৬তম স্থানে। আর আল-ইত্তিহাদের অবস্থান ৫০তম স্থানে।
সেরা ১০০ তে নেই মেসির ইন্টার মায়ামি
গ্রীষ্মের বড় চমক ছিল ইন্টার মায়ামি। লিওনেল মেসিকে দলে ভিড়িয়ে চমক উপহার দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি। দলে এসেছেন সার্জিও বুসকেতস এবং জর্ডি আলবার মত বড় নামও। তবে সিআইইএস এর গবেষণায় সেরা ১০০ তেও জায়গা হয়নি মায়ামি শহরের ক্লাবটির। ক্লাবটি বোনাস, ভাতা ও ক্লাবের লক্ষ্য পূরণ সাপেক্ষে অন্যান্য আর্থিক পুরস্কারসহ দলবদলের খরচে অনেকটাই পিছিয়ে আছে বলে জানিয়েছে সিআইইএস।