দিনদুপুরে চলন্ত অটোরিকশায় প্রবাসীর সর্বস্ব লুট
মো. মাসুম পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক। তবে এই পেশার আড়ালেও তার আছে আরেকটি পেশা। আরও তিনজন আছে তার দলে। তারা প্রথমে খোঁজে টার্গেট। এরপর সিএনজিতে তুলে পথিমধ্যে যাত্রীকে মাঝে রেখে একজন বসে কোলে, আর দুইজন দুই পাশে। চলন্ত সিএনজি অটোরিকশায় শুরু হয় মারধর। এরপর খুনের ভয় দেখিয়ে লুটে নেয় সর্বস্ব। সবশেষ এক প্রবাসীর সাথে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইলসহ সবকিছু লুটে নিয়েছে এই চক্রটি। তবে, সাঙ্গোপাঙ্গোদের ধরা না গেলেও কর্ণফুলী থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন নিজেই।
শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরের খুলশী থানা এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন।
জানা গেছে, প্রবাসী আলমগীর হোসেন গত ৪ জুলাই দুুপরে খাতুনগঞ্জ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে রওনা দেন নিজ বাড়ি আনোয়ারার উদ্দেশে। নতুন ব্রিজ থেকে সিএনজি অটোরিকাশায় উঠতেই তাকে মাঝখানে বসিয়ে দুই পাশে বসেন আরও দুইজন। এছাড়া সামনেও উঠে পড়েন আরেকজন। শাহ আমানত সেতু পার হতেই সামনের ব্যক্তি পেছনে এসে বসে আলমগীরের কোলে। এরপর বাকি দুইজন তার মুখ টিপে ধরে এবং তার কাছে থাকা নগদ ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার চোখে মলম মেখে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় এবং পেছনে তাকালে গুলি করার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গত ৬ জুলাই কর্ণফুলী থানায় তিনি একটি মামলা দায়ের করেন।
কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন বলেন, ‘আসামি পেশাদার মলম পাটির সদস্য ও সিএনজি চালক। এর আগেও সে ২০১১ সালে একই অপরাধ করে বায়েজিদ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। সবশেষ এক প্রবাসীর করা মামলায় তাকে দিবাগত রাতে খুলশী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তিমতে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পাহাড়তলী থানা এলাকা হতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজিটি জব্দ করা হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে মোট দুইটি মামলা চলমান আছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।