দীঘিনালায় ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব
ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরে, গড়াই নৃত্য, গান পরিবেশন এবং নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ “উৎসব ত্রিপুরাব্দ ১৪৩৩” পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দীঘিনালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করা হয়।
সকালে দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বোয়ালখালী নতুন বাজার প্রদক্ষিণ করে দীঘিনালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী গড়াই নৃত্য পরিবেশন করা হয়। পরে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোষাক পড়ে ষাট জন শিশু শিল্পী নৃত্য পরিবেশন করেন।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদ দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি মাচাং খোকন বিকাশ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি বাবু নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রণজিৎ নারায়ন ত্রিপুরা, দীঘিনালা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রাজু, স্নেহাশীষ ত্রিপুরা এবং ঘনশ্যাম ত্রিপুরা প্রমুখ।
উল্লেখ্য খ্রিষ্টাব্দ প্রচলন হওয়ার ৫৯০ বছর পর ত্রিপুরা বর্ষপঞ্জি বা ত্রিপুরাব্দ বা ত্রিং প্রবর্তন করা হয়। ত্রিপুরার মহারাজাদের ইতিহাস শ্রীশ্রী রাজমালা অনুসারে ১১৮তম ত্রিপুরা মহারাজা হিমতি ওরফে হামতরফা ওরফে যুঝারুফা ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী রাজ্য বঙ্গের শাসককে পরাজিত করে কিছু অংশ নিজের নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে মহারাজ হামতরফা ত্রিপুরাব্দ প্রবর্তন করেন।