জাতীয়

দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা নিলে শেখ হাসিনা মাহাথিরকে ছাড়িয়ে যাবেন: কামরুল

ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থপাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, যদি এ অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে শেখ হাসিনা মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকেও ছাড়িয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ক্রমান্বয়ে চার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়, বিশ্বাস করি মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকে ছাড়িয়ে যাবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী; যদি দুর্নীতি, ট্যাক্স লুটেরা এবং এই অপকর্ম যারা করে তাদের বিরুদ্ধে যদি আজকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বিশ্বাস করি আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, প্রধানমন্ত্রী আবার সরকার গঠন করতে পারবেন। এ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

তিনি বলেন, এখনই সময় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। আমরা রাজনীতি যারা করি আমাদের লজ্জা হয় এ সমস্ত লোকদের ব্যাংক লুটেরা বা যারা এসব কাজ করছে তাদেও দেখে।

কামরুল বলেন, আবারও বলতে চাই, বিশ্বের অন্যতম সৎ রাষ্ট্র নায়ক আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের দেশে ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারীরা এবং এসব দুর্নীতিবাজরা আমাদের গায়ে চুনকালি মাখতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যেমনি ভাবে ক্যাসিনো কাণ্ডের বিচার হয়েছিল, তেমনিভাবে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আজকে যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী অন্যতম একজন সৎ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিশ্বের সৎ ব্যক্তিদের তালিকায় ১০ জনের মধ্যে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। সেখানে দুর্নীতি যারা করে তাদের কোনোভাবে বাংলাদেশ টলারেন্স করতে পারে না।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রমাণ করে দিয়েছে অতীতে বিএনপি কোনো সময় তার দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করতে পারেনি, তাদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রমাণ করে দিয়েছে, বিভিন্ন সময় আমাদের মন্ত্রী, এমপিদের পর্যন্ত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। আপনাদের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে কিছু দিন আগে ক্যাসিনো কাণ্ডে আমাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন, বিচারের আওতায় তাদের আনা হয়েছে।

কামরুল বলেন, দুর্নীতিতে বাংলাদেশ আজকে জিরো টলারেন্স, আমাদের যে কথাটা প্রধানমন্ত্রী বলেন বা সরকারের যে নীতি এটা স্বীকার করতেই হবে দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স আমরা। আামাদের নেতাকর্মীদের কোনোভাবেই আমরা দুর্নীতিতে ছাড় দিচ্ছি না।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশকে ষড়যন্ত্রের অংশ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ইদানিং যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটছে আমি বিশ্বাস করি এগুলো ষড়যন্ত্রেরও অংশ। জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হঠাৎ করে আজকে কিছু দুর্নীতিবাজ, সাবেক কর্মকর্তাদের তাদের কিছু কিছু প্রচার-প্রপাগান্ডা হচ্ছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, আজকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ সমস্ত দুর্নীতির কথা হঠাৎ করে উঠে আসছে। কিন্তু এ কথা স্বীকার করতেই হবে যাদের বিরুদ্ধে আজকে অভিযোগ, তারা কেন আইনকে ভয় পায়, তারা আইনকে ভয় পেয়ে কেন বিদেশে চলে যায়, তারা কেন আজকে এ . . বেনজির সাহেব বলেন বা আজকে সে কর্মকর্তা বলেন, ছাগল কাণ্ডে সেই কর্মকর্তা বলেন তারা কেন আইনকে ভয় পায়, আইনকে ভয় পায় বলেই তো আমাদের ভয় হয় নিশ্চয়ই তারা দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে অভিযোগগুলো সত্য। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ কিন্তু কিন্তু তারপরও এ অভিযোগগুলো তাদের বিরুদ্ধে যে সত্য, তারা যেহেতু আইনকে ভয় পায় সেটা প্রতীয়মান হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *