চট্টগ্রাম

দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, ভারত থেকে আনা ৭০

নগরীর কাজির দেউড়ি বাজার থেকে নিয়মিত কেনাকাটা করেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফাহিম আহমেদ। গতকাল রবিবার যথারীতি বাজারে গিয়ে দুই কেজি দেশি পেঁয়াজ কেনেন ৭৫ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও একই দর ছিল। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এতদিন বলা হয়েছে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দাম বেশি। কিন্তু এখন থেকে ভারতের সেই নিষেধাজ্ঞা নেই তবু তো দাম কমে না।

ভারত থেকে আমদানি শুরুর ছয় দিন পরও খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার কিংবা গলির খুচরা বাজার কোথাও পেঁয়াজের দামে প্রভাব পড়েনি। আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে আমদানিকারকরা খুব বেশি পেঁয়াজ আমদানি করছেন না। যে কারণে বাজারে দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ আগের মতোই রয়ে গেছে।

খাতুনগঞ্জের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি আড়তেই সাজানো রয়েছে পেঁয়াজের বস্তার সারি। দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি রয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজও। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে যে দামে বিক্রি হয়েছে এখনো একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত হামিদুল্লাহ মিয়ার বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস জানান, ভারত পেঁয়াজ আমদানির ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও আমদানি কম হওয়ার কারণে খাতুনগঞ্জের বাজারে ওভাবে পেঁয়াজ আসছে না। যে কারণে এখন পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজের ওপরই চলছে বাজার। যে কারণে দাম প্রায় আগের মতোই রয়ে গেছে। কেজিতে হয়তো দুই থেকে তিন টাকা কমতে পারে। তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজ রবিবার পাইকারি বাজারে মানভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

এদিকে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে এ পেঁয়াজ কম।

নগরীর দেওয়ান বাজার এলাকার মুদির দোকানদার নাছির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান, খাতুনগঞ্জ থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনে দোকানে আনা পর্যন্ত গাড়ি ভাড়া, শ্রমিক খরচসহ ৬৮ টাকা দাম পড়ছে। তারা ৭৫ টাকা করে বিক্রি করছেন।

দীর্ঘদিন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল। তবে সে দেশের কৃষকদের দাবির মুখে লোকসভা নির্বাচনের কারণে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করার কারণে বাংলাদেশে দেশি পেঁয়াজের তুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *