দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতেই ষড়যন্ত্র- ঢাবি উপাচার্য
দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করার জন্যেই যাবতীয় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে আলোচনা করতে একত্রিত হয়েছি। যাতে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে। যারা ক্ষমতায় আসে, তারা যেন ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে– এটিই আমাদের প্রত্যাশা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রাম আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও নির্বাচন: প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ‘যে রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল, আমরা সেই রাজনৈতিক দলের কথা বলছি। এ দলের নেতৃত্বেই সত্তরের নির্বাচন হয়েছিল এবং নির্বাচন হতে বাধ্য করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চরিত্র হলো, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা বদল হবে। সেই নির্বাচন করবে জনগণ। ৭৩-এ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনুষ্ঠিত হয় হ্যা-না ভোট। এটি করেন সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান। কিন্তু তিনি যখন নির্বাচন করেন তিনি বৈধ শাসক ছিলেন না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ যেন কখনও ক্ষমতায় আসতে না পারেন, সে জন্য মোশতাক করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং জিয়াউর রহমান করে ইনডেমনিটি অ্যাক্ট। এর মাধ্যমে জিয়াউর রহমান সংবিধানের হত্যাকে বৈধতা দেয়।’
বর্তমানে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এখনকার আন্দোলন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক সেই আন্দোলন না। এখনকার আন্দোলন হলো, আরেকটি ওয়াল ইলেভেনের আন্দোলন। বিএনপি হয়তো খুশি, বিদেশিরা তাদের ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু বিদেশি শক্তি মূলত চায়, তাদের মদদপুষ্ট একজন হামিদ কারগাই (আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট) এ দেশের ক্ষমতায় বসুক। কারণ তারা চায় না, এ দেশে উন্নয়ন হোক। তারা চায় না বাংলাদেশ একটি স্বাবলম্বী রাষ্ট্র হোক, বাংলাদেশে পদ্মা সেতু হোক, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, মাতারবাড়ী ডিপ সি-পোর্ট (গভীর সমুদ্রবন্দর), এলিভেটিভ এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রোরেল হোক।’
নির্বাচন নিয়ে বিদেশি শক্তির তৎপরতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশি শক্তিগুলো আমাদেরকে তাদের ওপর নির্ভরশীল করে রাখতে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। আমরা শুনছি, আমাদের নাকি স্যাংশন দেওয়া হবে। স্যাংশন আরও দেওয়া হোক, তাতে আমরা একটি নির্ভরশীল রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়ানোর জন্য আরও প্রস্তুত হতে পারবো, আরও শক্তিশালী হতে পারবো।’