দেশে থ্যালাসেমিয়ার বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ
দেশে থ্যালাসেমিয়ার রোগের বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএসের মিলনায়তনে থ্যালাসেমিয়া-২০২৪ প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশে বিবিএস এই সার্ভে পরিচালনা করেন।
সংস্থাটি বলছে, দেশে ১১ দশিমক ৯ শতাংশ পুরুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক এবং নারী ১১ দশমিক ২ শতাংশ। এরমধ্যে গ্রামাঞ্চলে থ্যালাসেমিয়ার বাহক ১১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শহুরে ১১ দশমিক।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশে মোট হেপাটাইটিস-বি- পজিটিভের বাহক ১ দশমিক ২ শতাংশ। এরমধ্যে পুরুষ হেপাটাইটিস-বি-পজিটিভের বাহক ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং নারী বাহক ১ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে হেপাটাইটিস-বি পজিটিভের বাহক এক দশমিক এবং শহরে হেপাটাইটিস-বি পজিটিভ এক দশমিক ৪ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, এই সার্ভে আমাদের পথ প্রদর্শক। থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ার টু ক্যারিয়ার নির্মূল করতে বাহক টু বাহক বিবাহটা বন্ধ করতে হবে। বিয়ের চেয়ে অনাগত ভবিষ্যতের কথাটা সবাই চিন্তা করবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এই রোগ নিয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে, পেনিক হওয়া যাবে না। এই সার্ভের মাধ্যমে একটি দ্বার উন্মোচিত হলো।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, অনেক সচেতনতার সঙ্গে এই সার্ভেটা করা হয়েছে। আমরা মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নিয়ে এই সার্ভে করেছি। তাই আমরা মনে করি, যদি বাহক টু বাহক বিবাহ বন্ধ রাখা যায় তাহলে থ্যালাসেমিয়া নির্মূল করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবেদন উপস্থাপন প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান।