ধর্ম অবমাননায় পাকিস্তানে ২২ বছরের শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড
পাকিস্তানে একটি ধর্ম অবমাননাকর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাকে কেন্দ্র করে ব্লাসফেমির অভিযোগে ২২ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার ( ৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের একটি আদালত ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনেছেন। আদালতে বলা হয়েছে, তিনি আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করার মধ্য দিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে চেয়েছেন যা পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী ব্লাসফেমির পর্যায়ে পড়ে।
এদিকে, এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ১৭ বছর বয়সী আরেক শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা দুজনেই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চলতি সপ্তাহে মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী হোয়াটসঅ্যাপে এমন ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করেছেন যেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং তার স্ত্রীদের সম্পর্কে অবমাননাকর শব্দ রয়েছে।
২০২২ সালে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সাইবার ক্রাইম ইউনিট অভিযোগটি দায়ের করেছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বাবা বিবিসিকে বলেছেন, তিনি লাহোর হাইকোর্টে আপিল করেছেন।
ব্লাসফেমি হল স্রষ্টা সম্পর্কে লেখা বা বলা বা ক্রিয়ার মাধ্যমে সম্মানের অভাব দেখানো, সহজ কথায় ধর্ম অবমাননা অথবা ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া। এটি পাকিস্তানে আইনত অপরাধ। যে আইনে কেউ ইসলাম বা ইসলামের নবী-রাসুলদের অপমান করেছে বলে মনে করা হলে মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারে। কিছু অভিযুক্তদের তো তাদের মামলা বিচারে যাওয়ার আগেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।