জাতীয়

নকল ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরি করে তারা

নকল ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরির সাথে জড়িত চক্রের ৪ জন পেশাদার ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। আসামিরা বিভিন্ন প্রকার নকল ভ্যাকসিন ও ইনজেকশন উৎপাদন ও বাজারজাত করতো। বিশেষ করে হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিগুলোয় নকল ওষুধ সরবরাহ করতো তারা। এসব নকল ওষুধ ও ভ্যাকসিন রোগীদের শরীরে কোন কাজ করতো না।

টিটেনাস, ডায়াজিপাম বা এট্রোপিন সালফেটের মতো কমদামি ভ্যাকসিনে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে, সম্পূর্ণ ভিন্ন ওষুধ তৈরি করতো তারা। পরে এগুলো জেসন ফার্মার মতো বিদেশী কোম্পানির নাম ব্যবহার কওরে বিক্রি করতো তারা। যেমন, টিটেনাস ভ্যাকসিন ১০ টাকায় কিনে, হেপাবিগে রুপান্তর করে ৪৬০০ টাকায় বিক্রি করা হতো।

একইভাবে কম দামে এট্রোপিন সালফেট এবং ভারতের ডায়াজিপাম সংগ্রহ করে ভেজাল মেশাতো চক্রটি। তারপর ডেনমার্ক ও জার্মানির নামিদামী কোম্পানির সিল ব্যবহার করে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করতো।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় প্রায় ৮-১০ বছর ধরে চক্রটি নকল ওষুধ তৈরি করছে। মিটফোর্ডসহ ঢাকা-কুমিল্লা-বরিশাল ও ময়মনসিংহে সরবরাহ করতো এসব ওষুধ। অভিযান চালিয়ে কোতয়ালী ও কেরানিগঞ্জ থেকে অসিম, আনোয়ার সহ ৪ জনকে আটক করে ডিবি।

এ বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, নকল ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। ওষুধ বিক্রি ও হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের সাথে ফার্মেসির ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *