আন্তর্জাতিক

নতুন করে লেখা হচ্ছে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে আগের প্রস্তাবটি নতুন করে লেখা হচ্ছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক অ্যাক্সিয়সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের আলোচনার সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র পণবন্দী-অস্ত্রবিরতি চুক্তির ৮ নম্বর অনুচ্ছেদটি সংশোধন করা হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে। ওই অনুচ্ছেদটিতে চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের আলোচনা সম্পর্কে বলা হয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যাতে চুক্তি হয়, তার একটি ফরমুলা প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এতে বলা হয়, হামাস এই পরিবর্তন অনুমোদন করলে চুক্তি হতে পারে।

চুক্তি হলে ছয় সপ্তাহের জন্য অস্ত্রবিরতি বলবত হবে। এ সময় হামাস তাদের হাতে আটক ইসরাইলি নারী, বয়স্ক ব্যক্তি ও অসুস্থ পণবন্দীদের মুক্তি দেবে। একইসময় দ্বিতীয় ধাপের অস্ত্রবিরতির জন্য আলোচনা শুরু হবে। দ্বিতীয় ধাপে হামাস তাদের হাতে থাকা অবশিষ্ট পণবন্দিদের মুক্তি দেবে। তবে হামাস যদি চুক্তির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে, তবে ইসরাইল আবার যুদ্ধ শুরু করতে পারবে।

হামাস বার বার বলে আসছে যে তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায়। তাছাড়া ইসরাইলি পণবন্দির বিনিময়ে কতজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং কারা মুক্তি পাবে, তা নিয়েও সমঝোতা হতে হবে। অন্যদিকে ইসরাইল গাজাকে অসামরিকীকরণের ওপর জোর দিচ্ছে।

তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে পণবন্দিদের মুক্তির পর যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়ায় চুক্তিটি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে পরের দিন তিনি জোর দিয়ে বলেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রতি ইসরাইল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় এখনো ১১৬ জন পণবন্দি রয়ে গেছে। তবে তাদের হয়তো সবাই জীবিত নেই। গত নভেম্বরে অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে ১০৫ বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *