নদভীর বিরুদ্ধে গানম্যান দিয়ে ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর বিরুদ্ধে গানম্যান নিয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেবের প্রতীক ‘ঈগল’ নিয়ে নদভীর দুই সমর্থকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) বিকৃত ছবি পোস্ট করে আপত্তিকর মন্তব্য লেখার অভিযোগও করা হয়েছে।
আব্দুল মোতালেব নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ পৃথক দুইটি অভিযোগ করেন। লিখিত প্রথম অভিযোগে আবদুল মোতালেব উল্লেখ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু রেজা নদভীর নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে সরকারি গানম্যান মামুন মিয়া সার্বক্ষণিক তাঁর (নদভী) সঙ্গে থেকে ভোটার ও মোতালেবের সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মামুন মিয়া নগদ টাকা বিলি করছেন।
যা আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ১৪ (২) এর সুস্পষ্ট পরিপন্থি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। দ্বিতীয় অভিযোগে মোতালেব উল্লেখ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী নদভীর প্রত্যক্ষ সমর্থন ও ইন্ধনে তাঁর (নদভী) শ্যালক চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দীন তাদের ব্যবহৃত ফেসবুক ভ্যারিফাইড পেইজ থেকে কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে মোতালেবের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে নির্বাচনী শৃঙ্খলা পরিপন্থি, মানহানিকর, কটূক্তি ও বেআইনী বক্তব্য ও বিতর্কিত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছে। এ সব বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নদভীকে বিভিন্ন মাধ্যমে এসব কর্মকান্ড বন্ধের অনুরোধ করলেও তিনি কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়া নদভীর শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরী তার ফেসবুক আইডি থেকে ঈগলের ছবি বিকৃত করে একটি পোস্ট দেন। এতে লিখেন-‘বর্তমানে ঈগলের উপর সব কাওয়া সওয়ার হয়েছে’। এরাই বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে খামছে ধরেছে, যাতে জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যেতে না পারে। একই সাথে নদভীর সমর্থক অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দীন গত ২১ ডিসেম্বর ২টি ও ২৩ ডিসেম্বর নিজস্ব ফেসবুক পেইজ থেকে ১টি পোস্ট শেয়ার করেন। এতে লেখা ছিল- ‘হায়রে ঈগল!! মারা গেল।
প্রথম ও দ্বিতীয় অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) সহকারি রিটার্নিং কমকর্তা ও দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইনামুল হাসান ও মিল্টন বিশ্বাস। তারা জানান, অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে লিখিতভাবে পাঠানো হবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।