নাটোরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের নামে দুই মামলা
নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নামে সিংড়া থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন উপজেলার ১২ নম্বর রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ও রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল হোসেন।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম মামলা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলামের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পলককে। এতে পলক ছাড়াও ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কৈগ্রাম এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন মোটরসাইকেল এবং ভ্যানে করে এসে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। ওই সময় লোহার রড দিয়ে বিএনপি নেতাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। বাদীর একটি ফোন ছিনতাই করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন। মামলা করলে প্রাণনাশ করা হবে বলেও হুমকি দেন আসামিরা।
যুবদল নেতা মো. শিমুল হোসেনের করা মারধরের মামলায়ও প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলককে। এছাড়া ২৭ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের এজেন্ট হয়েছিলেন শিমুল। বাদোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি এজেন্টের দায়িত্ব পালন করার সময় আসামিরা গিয়ে তাকে মারপিট করে মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরদিন উপজেলার হরিণী তিন মাথা মোড়ে এসে বিবাদীকে রক্তাক্ত করেন আসামিরা।
এ দুই মামলায় পলক ছাড়াও আসামি করা হয়েছে রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস আলী এবং সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেনকে।
ওসি বাংলানিউজকে বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে রাতে দুটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
