বিনোদন

নাপিতের চরিত্রে তানজিন তিশা

‘পুতুলের সংসার, ‘রিকশা গার্ল’, ‘বাইকার গার্ল’ ‘সিকিউরিটি গার্ল’ ‘আই অ্যাম ডিভোর্স’সহ অনেকগুলো নারীকেন্দ্রিক চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন সময়ের অলোচিত অভিনেত্রী তানজিন তিশা। এবারও নারী কেন্দ্রীক চরিত্রে অভিনয় করছেন। তবে এবার নাপিতের চরিত্রে। নাটকের নাম ‘নরসুন্দরী’ ।

গল্পে দেখা যাবে, মেয়েটির বাবা হঠাৎ খুন হয়। বোন ও মাকে নিয়ে সংসার চালাতে কলেজপড়ুয়া মেয়ে বহ্নিকে বাবার পেশা বেছে নিতে হয়। বাবা ছিলেন নাপিত। সংসার চালাতে বহ্নিও কাঁচি ও ক্ষুর হাতে তুলে নেন। বাবার পুরোনো সাইকেল চালিয়ে গ্রামের বাজারে বাজারে নাপিতের কাজ করতে থাকেন। কিন্তু প্রথমে তাঁর এই কাজে বাধা আসে। তাঁর হাতে কেউ চুল-দাড়ি কাটতে চান না।

পরে অভ্যস্ত হলেও একটা সময় নানা বৈষম্যের বাধায় এলাকা ছাড়তে হয় তাঁদের পরিবারকে। শহরে এসে সেলুনে কাজের চেষ্টা করতে থাকেন। একজন মেয়ে হিসেবে বহ্নির জীবনে নতুন সংগ্রাম যোগ হয়। এভাবে গল্প এগোতে থাকে।

গত মঙ্গলবার থেকে কালীগঞ্জের লোকেশনে শুরু হয়েছে নাটকটির শুটিং।

‘নরসুন্দরী’ নাটকের এমন একটি চরিত্রে কাজের ব্যাপারে তানজিন তিশা বলেন, ‘এটি তো অস্বীকার করার উপায় নেই, নারীরা আমাদের সমাজে এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কাজ তো কাজই। নারী-পুরুষ সমানভাবেই করতে পারে সেটা। কিন্তু কোনো কোনো কাজ এ সমাজে এখনো নারীদের জন্য বাধা, মেনে নিতে পারে না। এই যে নাপিতের কাজ নারীরা করতে গেলে সমস্যা। কাজটি করতে গিয়ে পদে পদে বাধা।’

তানজিন তিশার ভাষ্য, ‘নরসুন্দরী নাটকটির গল্প আমার কাছে নতুন, এখানে নিজের চরিত্রটিও নতুন। দুদিন হলো শুটিং করছি। আরও কয়েক দিন হবে। ঠিক ঠিকমতো কাজটি শেষ করতে পারলে ভালো একটি কাজ হতে পারে। এই কাজটি আমার ক্যারিয়ারে নতুন কিছু যোগ করতে পারে। তা ছাড়া নারীদের অধিকার, নারীদের সংগ্রামের গল্প নিয়ে কাজ করতে আমারও খুব ভালো লাগে।’

চরিত্রটির জন্য বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে এই নায়িকার। শুটিংয়ের আগে সেলুনে, রাস্তার ধারের দোকানে গিয়ে চুল কাটা, দাড়ি কামানোর কৌশলগুলো বসে থেকে থেকে দেখতে হয়েছে, শিখতে হয়েছে তাঁকে। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘শুটিংয়ের আগে মগবাজার, কারওয়ান বাজারে গিয়ে সেলুনে ও রাস্তার ধারের নাপিতের কাছে দু-তিন ঘণ্টা করে বসে থেকে কাজটি দেখেছি। কাঁচি ধরা থেকে শুরু করে দাড়ি কামানোর কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করেছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *