খেলা

নামিবিয়ার বিপক্ষে ৩৪ বল ব্যাট করেই জিতল অস্ট্রেলিয়া

ম্যাচটা শেষ করতে অস্ট্রেলিয়া মোটেই সময় নেয়নি। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে নামিবিয়াকে হারাতে তারা খেলেছে মোটে ৩৪ বল। ৫ ওভার ৪ বলেই নামিবিয়ার দেয়া ৭৩ রানের টার্গেটে চলে যায় অজিরা। ৯ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে ২০২১ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ের পর স্কটল্যান্ডকে টপকে গ্রুপে সবার ওপরে উঠে এসেছে মিচেল মার্শের দল। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে সুপার এইট পর্ব।

ছোট পুঁজির সামনে আগ্রাসী মেজাজেই খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। নেমেছেন তিন ব্যাটার। প্রত্যেকেই ব্যাট করেছেন ২০০ বা তার বেশি স্ট্রাইকরেটে। ডেভিড ওয়ার্নার করেছেন ৮ বলে ২০। তার স্ট্রাইকরেট ২৫০। ডেভিড উইসার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। এরপর বাকি কাজ সেরেছেন ট্রাভিস হেড এবং অধিনায়ক মিচেল মার্শ। হেড করেছেন ১৭ বলে ৩৪, আর মার্শের ৯ বলে এসেছে ১৮ রান। দুজনেরই স্ট্রাইকরেট ২০০।

নামিবিয়ার বোলারদের ওপর কেমন ঝড় গিয়েছে, তা টের পাওয়া যায় বোলারদের ইকোনমিতে চোখ রাখলে। অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস এক ওভারে দিয়েছেন ৬ রান। সেটাই সর্বনিম্ন। ডেভিড উইসা এক ওভারে দিয়েছেন ১৫ রান। বেন সিকোঙ্গো দিয়েছেন ১৯ রান। রুবেন ট্রাম্পেলম্যানের ২ ওভারে এসেছে ১৯ রান। সবমিলিয়ে, নামিবিয়ার জন্য রাতটা বিভীষিকারই ছিল।

এর আগে ব্যাট হাতেও সুবিধা করতে পারেনি নামিবিয়া। অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস একা চালিয়েছেন লড়াই। সঙ্গী হিসেবে কাউকেই পাননি পুরোটা সময় জুড়ে। পুরো দল যখন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনআপের সামনে খাবি খেয়েছে, তখন নামিবিয়া অধিনায়ক খেলেলেন একা হাতেই। ৪৩ বলে ৪ চার এবং ১ ছক্কা হাঁকিয়ে করেছেন ৩৬ রান। নবম উইকেটের যখন পতন হয়, তখন দলীয় সংগ্রহের অর্ধেকটাই ছিল এরাসমাসের।

শেষ উইকেটে নামিবিয়া আর কোনো রানই যোগ করতে পারেনি। ৭২ রানেই থামে তাদের ইনিংস। অ্যাডাম জাম্পার ৪ আর জশ হ্যাজেলউড-মার্কাস স্টয়নিসের জোড়া উইকেট শিকারের দিনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে রীতিমত নাস্তানাবুদ আফ্রিকান দেশটি। পুরো দলের হয়ে এদিন এরাসমাসের বাইরে ডাবল ডিজিটে গিয়েছেন কেবল ওপেনার মিচেল ভ্যান লিনগেন। ১০ বলে করেছেন ১০ রান।

শুরুর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন প্যাট কামিন্স এবং জশ হ্যাজেলউড। হ্যাজেলউডের শিকার লিনগেন এবং নিকোলাস ডেভিস। আর জেই ফ্রাইলিংকে ফিরিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ১৫ রানেই নেই তিন উইকেট। নামিবিয়ার বিপর্যয়ের আভাস মিলেছিল তখনই। এরপরই তাতে যোগ দেন অ্যাডাম জাম্পা। নাথান এলিস এক উইকেট নিয়েছেন বটে, তবে জাম্পা একাই নাস্তানাবুদ করেছেন নামিবিয়ার মিডল অর্ডার।

নবম উইকেটে এরাসমাস আর ব্রাসেল মিলে যোগ করেছেন ২৯ রান। এটাই নামিবিয়ার স্কোর টেনে নিয়ে গেল ৭২ পর্যন্ত। যদিও তাতে ব্রাসেলের অবদান মোটে ২ রান। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ও্যাডাম জাম্পা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *