জাতীয়

নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর সম্পাদক গ্রেপ্তার

অবশেষে ধরা পড়লেন ক্রীড়া সংগঠক রফিকুল ইসলাম নিউটন। জাপানী মার্শাল আর্ট-জুজুৎসুর এক নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিউটনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২।

অভিযুক্তরা ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের পর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও তারা এরকম আরও অপকর্ম করেছেন বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে।

শনিবার রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে নিউটনসহ দুইজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে, গত ১৬ মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত সুয়োমোটোতে বলা হয়, কুংফু-কারাতে শেখানোর নামে ছেলে-মেয়েদের সম্ভ্রমহানি করেছেন বাংলাদেশ জুজুৎসুর সাধারণ সম্পাদক নিউটন।

এতে রাজি না হলে মেয়েদের মারধর করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছেন। এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীর গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। এসব অপকর্মের অসংখ্য প্রমাণ, আপত্তিকর ছবি এবং অডিও রেকর্ড পেয়েছে একটি গণমাধ্যম।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় জানা যায়, অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ ট্রেইনি নারী। আর এই নারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতেন নিউটন।

এরপর ভালো চাকরি ও বিদেশে খেলতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের মতো অপকর্ম করতেন। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে নিউটনের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ আছে, সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের মতো ঘৃণিত অপরাধে জড়িত তিনি। জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *