চট্টগ্রাম

নাসিরাবাদ প্রা. বিদ্যালয়ের পিলারে ফাটল, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক

নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ সিএন্ডবি কলোনির নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক। সম্প্রতি বিদ্যালয়টির নিচ তলায় ৫-৬টি পিলারে ফাটল দেখা দিলে সবার মাঝে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পিলারে ফাটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিদ্যালয় ভবনে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আতঙ্ক থেকে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান কয়েকজন অভিভাবক। ইতোমধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে থানা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে বিদ্যালয়ের ভবনটি সংস্কার যোগ্য নয় বলে জানান এলজিইডির প্রকৌশলীরা।

জানা যায়, নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৯৮৭ সালে। পরবর্তীতে এর চতুর্থ তলা সম্প্রসারণ করা হয়। ভবনটিতে ১৪টি শ্রেণিকক্ষ, ১টি প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ও ১টি সহকারী শিক্ষকের কক্ষসহ মোট ১৬টি কক্ষ রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১ হাজার শিক্ষার্থী আছে। গত কিছুদিন যাবত ভবনের নিচতলার পাশাপাশি ২টি পিলারে ফাটল দেখা দেয়। পরবর্তীতে আরো ২ থেকে ৩টি পিলারে হালকা ফাটল দেখা যাচ্ছে।

বিদ্যালয় থেকে থানা শিক্ষা অফিসারকে জানানোর পর গত ৩১ জানুয়ারি এলজিইডি’র ২ জন ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শনে আসেন। তারা সবগুলো পিলার দেখেন এবং ছবি তুলে নিয়ে যান। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে জানাবেন বলে তারা চলে যান।

জানতে চাইলে নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারহানা নাজনীন বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। ভবনটিতে ১৪টি শ্রেণিকক্ষ, ১টি প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ও ১টি সহকারী শিক্ষকের কক্ষসহ মোট ১৬টি কক্ষ রয়েছে। ভবনে ফাটল দেখার পর থেকে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবক, শিক্ষক ও স্টাফদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বিষয়টি থানা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। এরপর এলজিইডি থেকে প্রকৌশলী এসে ফাটলগুলো দেখে গেছেন। তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান তুহিন বলেন, নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের নিচ তলায় ফাটলের কথা জানতে সেটি পরিদর্শনে যাই। সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকটি পিলারে ফাটল ধরেছে। যা সংস্কার করার অনুপযোগী। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেটি ভেঙে নতুন করে ভবন নির্মাণ করতে হবে। আমরা কয়েকদিনের মধ্যে বিদ্যালয়টি নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *