নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর ফেনী নদীতে মিলল মিরসরাইয়ের কিশোরের লাশ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফেনী নদীতে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর মো. জাহেদুল ইসলামের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জাহেদ মিরসরাইয়ের পূর্ব অলিনগর গ্রামের মো. ফারুক ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে এলাকাবাসী নদীর পাশে লাশটি ভাসমান অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
জাহেদের বাবা ফারুক ইসলাম বলেন, ‘আমলীঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সময় চোরাই পথে চিনি আসে। সোমবার রাতে আমার ছেলেসহ আরও অনেকে চিনি আনতে গিয়েছিল। তখন বিএসএফের তাড়া খেয়ে সবাই চলে আসলেও আমার ছেলে জাহিদ আসেনি। সে কানে কম শুনে এবং সাঁতার জানে না। আজ সকালে তার মরদেহ নদীতে ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে।’
স্থানীয় করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আজাদ উদ্দিন দাবি করেন- জাহিদুল লেবু বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। রবিবার রাতে ফেনী নদীতে সে নিঁখোজ হয় বলে শুনেছি।
স্থানীয়দের মতে- জাহেদুল ভারত সীমান্ত থেকে চিনিসহ বিভিন্ন দ্রব্য চোরাচালানের কাজেও জড়িত ছিল। হয়তো কোন কিছু আনতে গিয়ে নদীতে সে ডুবে গেছে।
বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এন্ড সিভিল ডিফেন্সে স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘ফেনী নদীর আমলীঘাট সীমান্তে নিখোঁজ হওয়া যুবক উদ্ধারের জন্য সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়েছে। বিকাল ৩টা থেকে চট্টগ্রাম থেকে আসা তিনজন ডুবুরিও অভিযানে অংশ নেয়। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় অভিযানের আগে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ফেনী নদীতে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গে পাঠানো হবে।
এর আগে রবিবার রাত ১০টায় করেরহাট ইউানিয়নের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রেখার জিরো পয়েন্টের আমলীঘাট এলাকার মেরকুম নামক স্থানে নিখোঁজ হয় জাহেদুল। তাকে উদ্ধারে পরদিন সোমবার ১০টা থেকে ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মী এবং চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ থেকে আসা তিন সদস্যের ডুবরি দল। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা ফিরে গেলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোর সাড়ে ৬টার নাগাদ জাহেদের মরদেহ নদীতে ভেসে উঠলে স্বজনরা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।