নিম্নমানের বিটুমিন: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে দুদকের অভিযান
সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার ৮ মে) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুদক জানায়, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার ও অন্যান্য অনিয়মের ফলে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বেশ কিছু স্থানে পিচ-পাথর জমাট বেঁধে উঁচু হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয় থেকে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
দুদকের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন এবং এলাকাবাসীর বক্তব্য পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া যায়। রাস্তার নমুনার ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর অভিযোগের বিষয়ে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও জানায় দুদক।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহের সহকারী মো. আসাদুজ্জামান জানান, সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত সকল উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাব টেষ্টের জন্য ঢাকায় স্যাম্পলগুলো পাঠানো হবে। সেখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছ। সেই সাথে রাস্তা নির্মাণে মাপের কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন সড়কের ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ অংশের নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার সাখাওয়াত বেগ জানান, সড়কটি রোড এন্ড হাইওয়ের। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্থ অংশে সড়ক সংস্কার শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, দুদকের টিম সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিসে যায়। জেলার দুইটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই সেখানে কোনো কর্মকর্তাদের পাননি বলে জানান দুদক কমৃকর্তারা ।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে শুরু হওয়ায় এই সংস্কার প্রকল্প শেষ হয় গত ১০ এপ্রিল। মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড-জেভি হাসান টেকনোলজি বিল্ডার্স নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কাজের দ্বায়িত্ব পায়। আর কাজ বাস্তবায়ন করেন ঝিনাইদহের মিজানুর রহমান মাসুম নামে এক ঠিকাদার।