জাতীয়

নির্দলীয় ভিসি চান শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নির্দলীয় ও একাডেমিশিয়ান এমন কেউ একজনকে ভিসি হিসেবে চাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকালে এমনটি জানিয়েছেন শাবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যতম সমন্বয় আসাদুল্লাহ আল গালিব।

বাংলানিউজকে গালিব বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করায় বর্তমানে পদটি খালি রয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা নতুন উপাচার্য হিসেবে একাডেমিশিয়ান এবং নির্দলীয় এমন একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দেখতে চাচ্ছে। আগামীতে যিনি আসবেন, তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা চাইলে আমরা সেটাই উত্থাপন করব।

স্থবির প্রশাসনিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মেইন প্রশাসন নেই তাই একাডেমির কার্যক্রম কিংবা অন্যকার্যক্রম চলবে না। আমরা নতুন প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি উত্থাপন করবো, যতদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুতই ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিচিতি ফিরিয়ে আনতে।

প্রশাসনের পদত্যাগ নিয়ে তিনি বলপন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রভোস্ট, প্রক্টরসহ আরো কয়েকজন পদত্যাগ করলেও এখনো পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির নেতারা, রেজিস্টার, কন্ট্রোলার এবং ছাত্র উপদেষ্টা কেউ পদত্যাগ করেনি। আমরা তাদেরও পদত্যাগ দাবি করছি।

এদিকে শনিবার (১০ আগস্ট) ব্যাক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এরপর রাতে পদত্যাগ করেন উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক এস এম সাইফুল ইসলাম, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও মেডিকেল প্রশাসক অধ্যাপক আসিফ ইকবাল পদত্যাগ করেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট, প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। একে একে সব পদত্যাগ করায় অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ফলে নির্বিঘ্নে বহিরাগত প্রবেশ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার ঝুঁকি বেড়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক কার্যক্রম অচল থাকায় বড় ধরনের সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। এ থেকে কবে মুক্তি মিলবে সেটাও সবার কাছে ধোঁয়াশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *