চট্টগ্রাম

‘নির্দিষ্ট গোডাউনের বাইরে পেঁয়াজ মিললেই জব্দ’

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এখন থেকে চট্টগ্রামের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীতে থাকা সবগুলো গোডাউনের তালিকা করা হবে। এ তালিকার বাইরে কোথাও পেঁয়াজ পাওয়া গেলে সেগুলো জব্দ করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে। এ ব্যাপারে আমরা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করব। কেবল পেঁয়াজ নয়, আলু, চিনি তেলসহ সব ভোগ্যপণ্যের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হল। তাছাড়া সব ব্যবসাই হতে হবে কাগজে-কলমে। কাগজহীন কোনও কিছুই আমরা ছাড় দেব না।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম জেলার আমদানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারি কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ স্বপন, খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ খা বাজার পিয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস ও ব্যবসায়ী নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক বলেন, গোডাউনে মালামাল যতই থাকুক না কেন, সেটির রশিদ থাকতে হবে। রশিদ ছাড়া কোনও মালামাল পাওয়া গেলে সেগুলো নিলামে ন্যায্যমূল্যে জনসাধারণের মাঝে বিক্রি করা হবে। বর্ডারে কারা এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেব। একই সঙ্গে হাত বদল করে পণ্যের দামও বৃদ্ধি করা যাবে না।

তিনি বলেন, জনগণকে একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক সঙ্গে ১০ কেজি কিংবা ৫ কেজি কিনে নিয়ে যাবেন না। অন্যজনকে সুযোগ করে দিন। তাহলে বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাকবে।

এদিকে, আজ চাক্তাই, খাতুনগঞ্জে পিয়াজের ক্রেতা কম দেখা যায়। ফলে বিক্রয়ও কম। বাজারে পিয়াজও নেই। চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, বাজারে ক্রেতা নেই, পিয়াজও নেই। তুরস্ক, চায়না ও পাকিস্তান থেকে পিয়াজ আমদানির চেষ্টা চলছে। এগুলো আসলে পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *