জাতীয়

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩০টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। এসব দলের মনোনীত প্রার্থীরা এর মধ্যে নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি শেষ করেছে। এককভাবে ও জোটগতভাবে নির্বাচন হলে বড় দলগুলোর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। এছাড়া বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্যও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। যাদের প্রায় সবাই বিএনপির রাজনীতি করতেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি জেপি (মঞ্জু), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু), জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (হাফেজ্জী হুজুর প্রতিষ্ঠিত), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মুকিত), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পাটি, ইসলামী ঐক্যজোট (মুফতী আমিনী প্রতিষ্ঠিত), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন- বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও গণফোরাম (একাংশ) নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই) সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৩ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো- তফসিল পরিবর্তন, আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন। ধারনা করা হচ্ছে, তফসিল পরিবর্তন হলে তারা নির্বাচনে আসতে পারেন।

অন্যদিকে নির্বাচনে যাওয়ার ভাবনায় আছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিকশা) ও খেলাফত মজলিস (দেওয়াল ঘড়ি)। দরকষাকষি করছে বাংলাদেশ জাসদ (মোটরগাড়ি)।

দল এবং জোটের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনজুর আলম। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মনজুর আলম চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচিত হয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। মনোনয়নপত্র কিনেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র কেনেন বিএনপির কর্মী বকুল মিয়া।

অন্যদিকে বিএনএমে যোগ দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সি এম সাফি মাহমুদ। এছাড়া আরো পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য বিএনএমে যোগ দিয়েছেন। এরা হলেন- জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, আবদুল ওহাব, আবু জাফর, দেওয়ান শামসুল আবেদীন, আবদুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *