নির্বাচনে চট্টগ্রামে কঠিন পরীক্ষায় একমাত্র নারী প্রার্থী
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে একজন নারী প্রার্থী আছেন শুধু চট্টগ্রাম-২ আসনে, যিনি এবার পেয়েছেন নৌকার টিকেট। এ আসনে প্রার্থী হওয়া সাবেক একজন সংসদ সদস্যসহ বাকি প্রার্থীরাও নেমেছেন কোমর বেঁধে।
স্বাভাবিকভাবেই ৭ জানুয়ারির ভোট নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির জন্য কঠিন পরীক্ষা হয়ে এসেছে। নানা নাটকীয়তার পর ফটিকছড়িতে চার প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-২ আসন। এখানে এবার মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২২৭ জন।
এই আসনে আওয়ামী লীগ এবার প্রার্থী করেছে সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আবু তৈয়ব। তার প্রতীক তরমুজ। এই আসন থেকে তরিকত ফেডারেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের ‘ফুলের মালা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জোটের এই প্রার্থীকে এবার ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ। এবার তাই দলীয় প্রতীকেই ভোটে লড়ছেন মাইজভান্ডারী পরিবারের এই সদস্য। ফটিকছড়ি আসনে মাইজভান্ডারী পরিবারের আরেক সদস্য বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদও প্রার্থী হয়েছেন। তার প্রতীক একতারা।
আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র, দুই প্রার্থী থাকায় দলের নেতাকর্মী ও অনুসারীদের ভোট ভাগ হবে। আবার মাইজভান্ডারী পরিবারের দু’জন প্রার্থী হওয়ায় এই তরিকার অনুসারীদের ভোটও বিভক্ত হয়ে যাবে।
অন্যদিকে ফটিকছড়ি ও ভুজপুর থানা এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী ও সমর্থকদের একটি অংশ থাকলেও আদর্শিক কারণে চার প্রার্থীর কারো পক্ষে তাদের ভোট যাবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সব মিলিয়ে জটিল এই আসনের ভোটের অংক।