নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে বিজিবি
চট্টগ্রাম: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম রিজিয়নে ১৭৭ প্লাটুন বিজিবি’র সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত আছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিবি’র মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনে ভোট গণনার সময়ও যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় সেখানেও আমাদের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
এর পাশাপাশি কোথাও নাশকতা বা কোনও সমস্যা হলে আমাদের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডগ স্কোয়াড যাবে। কোনো ভোটকেন্দ্রে সমস্যা হলে প্রয়োজনে সেসব জায়গায় আমরা ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করবো। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, এ নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমরা কাজ করে যাবো। বিজিবির পক্ষ থেকে সর্ব্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে সাধারণ লোকজন নিরাপদে তাদের ভোট দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা বর্ডারের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাও বিজিবির দায়িত্ব। এ বছরের নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না হয়, আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয় সেসব বিষয় মাথায় রেখে আমাদের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়, কোনো নাশকতা যাতে না হয় এবং লোকজন যাতে উৎসাহিত হয়, ভোট দিতে যাতে তারা নিরাপদ বোধ করে এবং তারা ভোটকেন্দ্রে আসতে জীবনের ঝুঁকি হবে না- সে বিষয়গুলো আমরা নিশ্চিত করবো। একইভাবে নির্বাচনের দিন আমরা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়োজিত থাকবো। মূলত আমরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবো। যদি কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিজাইডিং অফিসারের কোনও চাহিদা থাকে অথবা ভোটকেন্দ্রেও যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় সেখানেও আমাদের ফোর্স যাবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করবে।
নির্বাচনে বিজিবি’র গ্রেফতার ক্ষমতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আমাদের টহল টিম রাস্তায় থাকবে। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়, তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।