নোয়াখালীতে ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি, মৃত্যু ৩
নোয়াখালীতে গত দুদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকায় যে স্বস্তি এসেছিল, শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে পুনরায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আবারও বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে এখনও নোয়াখালীতে বৃষ্টি চলমান রয়েছে।
গত দুদিন বৃষ্টি না থাকায় যে পরিমাণ পানি কমছে, শনিবার রাতের বৃষ্টি এবং কুমিল্লা ও ফেনীর পানি প্রবেশ করায় নোয়াখালীর সেনবাগ ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এখনও নোয়াখালীর আটটি উপজেলায় ২০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জেলার ৮০০ আশ্রয়কেন্দ্রে দেড় লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রের বন্যাদুর্গত এসব মানুষকে সরকারি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ করা হলেও এখনও প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ না পৌঁছার আকুতি শোনা যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন থেকে আরও জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত নোয়াখালীতে বন্যায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত দুদিন সাপের ছোবলে ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া ময়লা ও নোংরা পানিতে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা সেবায় ৮৮টি মেডিকেল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।