‘ন্যূনতম মনুষ্যত্ব থাকলে পিটিয়ে মানুষ মারতে পারতো না’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাসহ দেশের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর দাবিতে যশোরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
এতে সমন্বয়ক রাশেদ খান বক্তব্যে বলেন, যাদের মধ্যে ন্যূনতম মনুষ্যত্ব আছে তারা এভাবে পিটিয়ে মানুষ মারতে পারে না। অতীতে আমরা দেখেছি, শিবির ট্যাগ দিয়ে মানুষ মারা হতো। এখনো সেটা বিরাজমান আছে। এখন সেই ট্যাগ পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন চোর ট্যাগ দিয়ে ও ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, সারাদেশে চলমান হত্যা, অত্যাচার-নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। পাহাড়ি আদিবাসীদের দাবিকে প্রাধান্য দেওয়া হোক। আমরা সবাই পাহাড়ে শান্তি চাই। সমতলের মতো পাহাড়টাও আমাদের। সেখানে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের অন্যতম সমন্বয়ক রাশেদ খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মব জাস্টিস এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অপর একটি গ্রুপ ‘ব্রিং ব্যাক জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শিক্ষার্থী নূর ইসলাম বলেন, আমরা ছাত্র আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, তারা ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দেশকে পুনরায় স্বাধীন করেছি। এ স্বাধীন দেশের সম্মান আমরা সবাই রক্ষা করার চেষ্টা করব। সমন্বয়কের পরিচয়ে কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে-, সে যত বড় সমন্বয়কই হোক না কেন, তাকে এ দেশের জনগণ ধরে বেঁধে ফেলবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।
কর্মসূচিতে আরেক শিক্ষার্থী মৌসুমী খাতুন বলেন, আমাদের এক ভাই ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা জানি যে সে একজন মানসিক রোগী। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজন জালাল, সে ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক বলে আমরা জানতে পেরেছি। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়লেও তার দোসররা কিন্তু দেশ ছাড়েনি এবং এ ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্র সমাজকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা চাই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো দলের রাজনৈতিক শাখা থাকবে না। এ হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের দ্রুত বিচার করা হোক।
কর্মসূচিতে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন, নবীন ইসলাম, সাকিব হোসেন, সাদিক বিল্লাহ, কিরণ আহমেদসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।