বিনোদন

পরকীয়া কী, আমি বুঝি না : মিথিলা

দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ক্যারিয়ারজুড়ে শুধু অভিনয় দিয়েই নয়, সেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ড, গান আরও নানা গুণে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই তারকা। যেখানে বর্তমান স্বামী সৃজিত মুখার্জি ও প্রাক্তন তাহসান খানকে নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন মিথিলা।

ওই সাক্ষাৎকারেই র‌্যাপিড ফায়ারে অংশ নিয়েছেন অভিনেত্রী। যেখানে তাকে একটি করে শব্দে প্রশ্ন করা হয়, মিথিলারও কোনো কিছু না ভেবেই চটজলদি উত্তর দিতে হয়।

শুরুতেই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয় মেয়ে আয়রা সম্পর্কে। মিথিলার উত্তর- আমার জীবন। এরপর আসে তাহসান খান প্রসঙ্গ। মিথিলার জবাব- বন্ধু, আয়রার বাবা।

সৃজিতকে ডাকে ‘আব্বু’ তাহসানকে ‘বাবা’, দুইয়ের কেন্দ্রে আমি: মিথিলা

মিথিলাকে প্রশ্ন করা হয়, পরকীয়া? অভিনেত্রীর উত্তর- এটা কী? আমি বুঝি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসবে বিশ্বাস করি না।

এরপর স্বামী সৃজিত ও অভিনেতা মোশাররফ করিম প্রসঙ্গেও জানতে চাওয়া হয় এই তারকার কাছে। সৃজিতকে নিজের ‘বর’, মোশাররফ করিমকে শক্তিশালী একজন অভিনেতা বলে মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।

এই র‌্যাপিড ফায়ারে অংশ নেওয়ার আগে সৃজিত ও তাহসান খানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে কথা বলেন মিথিলা। যেখানে অভিনেত্রী জানান, বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তাহসানের সঙ্গে তার যোগাযোগটা ছিল। নিয়মিত কথা হতো দুজনের মধ্যে। সেটা মেয়ে আয়রার কথা চিন্তা করেই।

মিথিলার কাছে প্রশ্ন করা হয়, বিবাহবিচ্ছেদের পরও সম্পর্ক রাখা কি স্বাভাবিক? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সব সম্পর্কে বন্ধুত্ব নাও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে সবার আগে। এটাই উচিত।’

মিথিলা আরও বলেন, ‘আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। আমি আর তাহসান চৌদ্দ বছর একসঙ্গে থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আলাপ। দু’জন দু’জনকে ভালো করে জানি। আয়রা আমাদের দু’জনের কাছে সবার আগে।’

মিথিলার সবকিছু জেনেই তাকে বিয়ে করেছেন সৃজিত। বিষয়টি উল্লেখ করে এই তারকা বলেন, ‘সৃজিত সবটাই জানত। বাংলাদেশে গিয়েছে, আমার পরিবারকে দেখেছে। তাহসানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দেখেছে। বিয়ের মতো সম্পর্ক হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ থাকে, সৃজিত সবকিছু জেনেই আমাকে গ্রহণ করেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *