পরিবেশের ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি
কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবস্থিত এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব নিরূপণ, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকার মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসকে। বিশেষজ্ঞ সদস্য রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ইনস্টিটিউট অব রিভার হারবার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. আসিফুল হক-কে।
এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগারের উপপরিচালক মো. কামরুল হাসান ও জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ারকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে আরও সদস্য যুক্ত করতে পারবে।
পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম গবেষণাগারের উপপরিচালক মো. কামরুল হাসান বলেন, ঢাকা থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করবো।
এদিকে প্রায় ৬৭ ঘণ্টা পর এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামের আগুন বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
আগুনে গুদামের গলিত চিনিমিশ্রিত পানির কারণে কর্ণফুলী নদীতে মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়। নদীর পানিও দূষিত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা