দেশজুড়ে

পরীক্ষা কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, নারীসহ আটক ৭

পঞ্চগড়: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারসহ পরীক্ষায় সহায়তা করার অভিযোগে তিন নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ। জেলার সদর উপজেলার আলাদা আলাদা ছয়টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।

বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায়। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলেও জানান তিনি।

আটকরা হলেন, পঞ্চগড় জেলার বোদা পৌরসভার নগরকুমারী এলাকার ওমর ফারুকের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা (২৯), একই উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের তাসেরপাড়া এলাকার মোজাহারুল ইসলামের স্ত্রী মাসুমা বেগম মনি (২৪) ও উপজেলার লক্ষিপাড়া এলাকার আনন্দ রায়ের ছেলে ভাস্কর রায় (৩২), সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (৫৫) ও একই উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের স্ত্রী উম্মে সুবাহ সাদিয়া (২৭), দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের আদর্শপাড়া এলাকার ফজলুল ইসলামের ছেলে কবির হোসেন (৩০) এবং আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের নিতুপাড়া এলাকার হবিবুর রহমানের ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান।

আটকদের মধ্যে পরীক্ষায় কানের মধ্যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা তিনজন নারীসহ চারজন, মোবাইল ব্যবহার করার অপরাধে দুইজন ও পরীক্ষায় সহায়তা করার অভিযোগে একজনসহ মোট সাতজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় বাদী হয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মণ্ডল মামলা দায়ের করবেন। বর্তমানে আটকরা সবাই থানা হেফাজতে রয়েছেন।

পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, আমরা একযোগে ২৪টি কেন্দ্রে পুলিশসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পরীক্ষা নিয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা কর্ম তৎপরতার সঙ্গে পরীক্ষা নেন। এরপরও সাতজনকে বিভিন্ন অপরাধে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে সবাইকে সচেতন করেছি। এর মধ্যেও এই কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করছিলেন। আমরা পরীক্ষার শুরুতেই তাদের আটক করতে সক্ষম হই। আশা করছি ভবিষ্যতে এমন কাজ থেকে অন্যরা বিরত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *