পাইকারিতে কমেছে চালের দাম
পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি চালের দাম কমেছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার চষে বেড়াচ্ছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা। তবে সেই প্রভাব নেই খুচরা বাজারে।
শুক্রবার (২৬শে জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিং কাঁচাবাজার, শিয়া মসজিদ বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের মতে, সব ধরণের চালের দাম কেজিতে এক থেকে তিন টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ক্রেতাদের মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপর যে হারে চালের দাম বেড়েছে, সে হারে কমছে না।
বাজারে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। আটাশ চালের কেজি ৫৫ টাকা, মোটা চালের মধ্যে পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। প্রক্রিয়াজাত মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা।
চন্দ্রিমা হাউজিং কাঁচাবাজারের একজন চাল ব্যবসায়ী বলেন, দাম তো কমছে। কেজিতে এক-দুই টাকা করে কমছে। তবে আর কমবে কি—না জানি না।
একই ভাষ্য শিয়া মসজিদ বাজারের ব্যবসায়ীদেরও। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমার তথ্য জানা আছে ক্রেতাদের। বস্তা প্রতি দুই থেকে তিনশো টাকা কমলে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চার থেকে ছয় টাকা কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
মো. কামাল নামে একজন ক্রেতা বলেন, খবরে পড়লাম পাইকারিতে দাম কমছে। কিন্তু খুচরা তো কমে না। দোকানদাররা বলে, তাদের আগের কেনা চাল।
এই ক্রেতার অভিযোগ, দাম বাড়ার খবর কানে আসতে এই বিক্রেতারাই আগে কিনে রাখা পণ্য বেশি দামে বিক্রি করেন।