খেলা

পাকিস্তানকে হারানো ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি’

সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে বলটি বাউন্ডারি ছুঁয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই টিভি ক্যামেরা চলে যায় বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে।

সবার ভেতর থাকা উচ্ছ্বাস স্পষ্ট হলো। আনন্দে একে-অন্যকে জড়িয়েও ধরছেন তখন।

এমন আনন্দই বুঝিয়ে দেয় বাংলাদেশের জন্য অর্জন কত বড়। এই সিরিজের আগে পাকিস্তানকে কখনো টেস্টে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ, এখন আছে সিরিজ জয়ের স্মৃতি। রাউয়ালপিন্ডিতে তাদের সিরিজ হারানোর পর নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আবেগটা আসলে মুখে বলা কঠিন হবে। কারণ এই ধরনের অর্জন আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা মুহুর্তগুলোর একটি।

‘সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই যখন ব্যাটিং করছিলেন, ড্রেসিংরুম থেকে আমরা সবাই চাচ্ছিলাম যেন, উনারা দুজনই ম্যাচটা শেষ করেন। এত বছর ধরে উনারা বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন। কত ম্যাচ জিতিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচ জেতা অনেক স্পেশাল। আমরা সবাই তাই চাচ্ছিলাম। আমরা সবাই অনেক খুশি। ’

দ্বিতীয় টেস্টে একসময় বাংলাদেশ পড়ে গিয়েছিল খাদের কিনারায়। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। কিন্তু ওখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস, গড়েন রেকর্ড ১৬৫ রানের জুটি। এর পেছনে বিশ্বাসের গুরুত্বের কথা বলেছেন শান্ত।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বিশ্বাসটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যেক ক্রিকেটার বিশ্বাস করে আমরা যেকোনো সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারি। আপনারা জানেন, মিরাজ ৮ নম্বরে ব্যাটিং করে। আমাদের যে ব্যাটিং গভীরতাটা আছে, আমরা বিশ্বাস করি যে, কেউ যদি থিতু হতে পারে, বড় স্কোর করবে। প্রত্যেকের মধ্যে যেকোনো সময় ঘুরে দাঁড়ানোর এই বিশ্বাস থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ’

‘২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ার পরও আমরা বিশ্বাস রেখেছিলাম। ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে সে (মিরাজ) একটা কথা বলেছিল যে, আমি আর লিটন দলের জন্য কাজটা করে ফেলব। তারা আগেও করেছে। তবে এটি খুবই প্রশংসনীয়। তাদের যে বিশ্বাস ছিল এবং ড্রেসিংরুমেও (যে বিশ্বাস ছিল) এবার, খুব খুব ভিন্ন ছিল। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *