পাকিস্তানকে ২১ রানে হারাল নিউজিল্যান্ড
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় পাকিস্তানকে ২১ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে ফিন অ্যালেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে বাবর আজম ও ফখর জামানের জোড়া ফিফটি তুলে নিলেও তা যথেষ্ট ছিল না। পেসার অ্যাডাম মিলনের বোলিং তোপে শেষমেশ সহজ জয় তুলে নেয় কিউইরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) হ্যামিল্টনের সেডন পার্ক স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি। ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। তবে কনওয়ের থেকে বেশি আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকেন অ্যালেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হারিস রউফকে চার ও ছক্কায় ডানা মেলে দেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে তার ব্যাট থেকে আসতে থাকে বাউন্ডারি।
ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে না পারা ডেভন কনওয়ের বিদায়ে ভাঙে ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। আমের জামালের বলে আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২০ রান করেন কনওয়ে। অন্যপ্রান্তে, ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ২৪ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন অ্যালেন। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে তার জুটিতেও রান তরতর করে বাড়তে থাকে। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় কিউই অধিনায়ককে। তার আগে ২৯ বলে ৫২ রানের জুটিতে উইলিয়ামসন করেন ১৫ বলে ২৬ রান।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে উসামা মিরকে ছক্কা মারার পরের বলে বোল্ড হয়ে যান অ্যালেন। ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান তেমন কিছু করতে পারেননি। দলে ফেরা মিচেল স্যান্টনারের ২ ছক্কা ও ৩ চারে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান হারিস রউফ। ২টি উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। এছাড়াও ১টি করে উইকেট পান আমের জামাল ও উসামা মির। পাকিস্তানের পাঁচ বোলারের মধ্যে কেবল অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদিই পাননি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলে সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর দলীয় ১০ রানে মিলনের বলে কট বিহাইন্ড হন রিজওয়ান। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাবর ও ফখরের ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় সফরকারীরা। একবার করে জীবন পাওয়া দুই ব্যাটার করেন ফিফটি। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ২৫ বলে পঞ্চাশ করে মিলনের বলে বোল্ড হন ফখর। দশম ওভারে দলীয় ৯৭ রানে বাবর-ফাখারের জুটি ভাঙার পরই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে পাকিস্তান। ইফতিখার আহমেদ, আজম খান ও আমের জামালের কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ২ উইকেটে ৯৭ থেকে ৫ ওভারের মধ্যে ১২৫ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। একপ্রান্ত আগলে থাকা বাবরের লড়াই থামান বেন সিয়ার্স। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৬৬ রান করেন বাবর।
আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা শাহীনের ১৩ বলে ২২ রানের ইনিংস কেবল পাকিস্তানের হারের ব্যবধানই কমায়। শাহীনের পর আব্বাসকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান মিলনে। তবে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৩ ওভারে ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট করে নেন টিম সাউদি, বেন সিয়ার্স ও সোধি।