জাতীয়

পাঠ্যবই থেকে শরীফ-শরীফার গল্প বাদ দিতে সুপারিশ

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে শরীফ-শরীফার গল্প বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। গল্পে ব্যবহৃত ১৯টি শব্দ ‘ইসলাম ধর্ম’ ও ‘বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থার’ সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন কমিটির সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গল্পে ১৯টি শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তির কথা বলেছেন। দেখা যাচ্ছে, শব্দগুলো বাদ দিলে ওই গল্পটি আর পরিপূর্ণ থাকছে না। সেজন্য আমরা গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছি। হিজড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে সচেতনতামূলক কোনো গল্প নতুন করে লিখে সেটা বইয়ে যুক্ত করা যেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে মতামত দেওয়া হয়েছে।’

তবে বিষয়টি নিয়ে কমিটির কেউ সরাসরি গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি। কমিটির প্রধান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ বলেন, ‘গল্পটি মূল্যায়ন করে আমরা একটা প্রতিবেদন তৈরি করেছি। সেটা ৮-১০ দিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। প্রতিবেদনে কী আছে এবং তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতটুকু বাস্তবায়ন করবে, সেটা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে আমি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাই না।’

এবিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘প্রতিবেদন জমা হয়েছে, এটা শুনেছি। তাতে কী আছে, সেটা আমরা এখনো জানি না। এ নিয়ে বৈঠক হবে। তখন সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *