পায়রা নদীতে সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
পটুয়াখালী: উত্তাল পায়রা নদীতে সেতুর দাবিতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিল পটুয়াখালীর শিশু শির্ষেন্দু বিশ্বাস। আর সেই চিঠির জবাবে সেতু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধানের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশব্যাপী আলোচিত সেই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। দীর্ঘদিন সমীক্ষা যাচাই, জমি অধিগ্রহণ ও নকশা প্রণয়নসহ নানান প্রক্রিয়া শেষে অবকাঠামোগত কাজ শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা নদীতে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন (ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন) করবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সেতু বিভাগ ও জেলা প্রশাসন।
২০১৬ সালে মায়ের সঙ্গে দাদা বাড়ি ফেরার পথে ঝড়ের কবলে পরে শির্ষেন্দু বিশ্বাসের পরিবার। উত্তাল পায়রা নদীতে সেতু না থাকায় ট্রলার আর নৌকাতেই পাড় হতে হয়। আর সেই কারণে পটুয়াখালী ফিরেই শির্ষেন্দু সেতুর দাবিতে চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সেই চিঠি পেয়ে প্রতি উত্তরে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী, যা সেই সময় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। তবে এবার বাস্তবায়ন হচ্ছে সেতুটি। আর এমন খবরে খুশি শির্ষেন্দুসহ জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা।
পায়রা নদীর এই সেতুর প্রকল্প পরিচালক তোফাজ্জল হোসাইন বলেন, সেতু বিভাগের অধীনে এই সেতুটি নির্মিত হবে। ইতোমধ্যে যাবতীয় সমীক্ষা ও পরিকল্পনা শেষ করে এক হাজার ৪২ দশমিক ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭ কিলোমিটারে’ পায়রা নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে।
এদিকে, মির্জাগঞ্জ পায়রা সেতুর পাশাপাশি জেলার আরও বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে এর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে যেমনি পূরণ হবে শীর্ষেন্দুর ইচ্ছা, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণ করা হলে ‘কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহানিয়া-কানাইয়া’ সড়কে যাতায়াতকারীরা দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবেন। পায়রা নদীর ওপর পায়রাকুঞ্জ নামক স্থানে এক হাজার ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ উপজেলাসহ বরগুনার কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে পটুয়াখালী সদর এবং ঢাকার সরাসরি, নিরবচ্ছিন্ন ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ডিসেম্বর ২০২৫ মেয়াদে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।