চট্টগ্রাম

পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি প্রধান সড়ক পানির নিচে।

ভেসে গেছে পুকুরে চাষ করা মাছ। নষ্ট হয়েছে ধানের ক্ষেত।

পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার পরিবার।

সূত্র জানায়, হালদা নদীর উজান থেকে আসা ঢলে বেশি প্লাবিত হয়েছে বাগানবাজার, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, হারুয়ালছড়ি, বক্তপুর, লেলাং, সুয়াবিলসহ অধিকাংশ নিচু এলাকা। পানির নিচে থাকায় নাজিরহাটসহ বেশ কিছু এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অন্তত ৮টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।

ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজ্জামেল হক চৌধুরী রাত আটটায় বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলে নিচু এলাকা বেশি প্লাবিত হয়েছে। আমি নিজে সুয়াবিল ও লেলাংয়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, ঢলের পানির বিপরীতে সাঁতার কাটতে কাটতে তিন-চারটি ডলফিন উজানে চলে আসে। এর মধ্যে একটি জালে আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের সহায়তায় সেটি পুনরায় হালদা নদীতে অবমুক্ত করার ব্যবস্থা করেছি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বন্যায় রোপা আমন, চাষের মাছ, সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আপাতত আমরা জানমাল রক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছি। আশাকরি, শিগগির ত্রাণ বরাদ্দ পাবে ফটিকছড়ি।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সমুদ্রবন্দরের জন্য কোনো সতর্কবার্তা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *