চট্টগ্রাম

পাহাড় কাটা রোধে চট্টগ্রামের ২৬ পাহাড়ে সতর্কবার্তা

পাহাড় কাটা রোধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগরীর বায়োজিদ লিংক রোড সংলগ্ন এলাকাসহ ২৬টি পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে দৃশ্যমান সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এসব পাহাড়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।

বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের মালিকানাধীন ১৬টি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি পাহাড়সহ সর্বমোট ২৬টি পাহাড়ে প্রায় ৬ হাজার ৫৫৮টি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অবৈধভাবে বসবাস করছে। গত ৮ আগস্ট পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন আদেশ মোতাবেক পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

পাহাড়ে সাইনবোর্ড স্থাপনকালে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন: অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মাজহারুল ইসলাম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান, মহানগরের কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক, হাটহাজারীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রায়হান, সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধূরী, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এফ এম শামীম, স্টাফ অফিসার ও সহকারী কমিশনার প্লাবন কুমার বিশ্বাস।

সাইনবোর্ড স্থাপনকালে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পাহাড় ধসের বিষয়ে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে পাহাড় কাটার দায়ে প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। পাহাড় কাটা প্রতিরোধ করতে নিয়মিত মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘পাহাড় খেকোরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাহাড়কাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না হলেও এসব সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেখে অন্ততঃ জনসাধারণ পাহাড় কাটার বিষয়ে সচেতন হবে। পাহাড়ে অবৈধ দখল ও কাটতে দেখলে তারা সরাসরি থানায়, পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *