পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক
এবার চট্টগ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় বিস্ফোরণের পর আগুন লাগলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ওই গাড়িতে থাকা তিন যাত্রী বের হতে পারলেও ভেতরেই পুড়ে মারা যান চালক আবদুস সবুর।
গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার গাছবাড়িয়া কলঘর এলাকায় এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তাটি অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। নিহত সবুরের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশার ইছামতী আলীনগর এলাকায়। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শিশুসন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা। তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, যাত্রী নিয়ে পটিয়া থেকে সাতকানিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন আবদুস সবুর। চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া বরগুনি ব্রিজ পার হয়ে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তারা আটক করলে টাকা দিতে হবে– এই ভয়ে দ্রুত তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে নেওয়ার সময় পেছন থেকে বালুবাহী একটি ডাম্প ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে পেছনে থাকা সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।
অটোরিকশায় আগুন ধরে যেতে দেখে পুলিশের গাড়িটি পালিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। পুলিশের একটি গাড়ি অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীরা তা ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। পরে চন্দনাইশ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অটোরিকশা আটক করে চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা হাতিয়ে নেয় জেলা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাদের টাকা দিলে ঠিকই মহাসড়কে তিন চাকার যান চালানো যায়।