পুলিশ সেজে টাকা হাতিয়ে ধরা বন্দর কর্মচারী
যুবক খন্দকার ইশতিয়াক আহম্মদ বায়েজিদের ঠাটবাট তার এমন—পুলিশের উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তা। নিজেকে উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াতেন এলাকা। মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাদের টার্গেট করে হাতিয়ে নিতেন টাকা। তবে এবার তিনি ধরা পড়েছেন আসল পুলিশের হাতে।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে নগরের বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা পুলিশ।
খন্দকার ইশতিয়াক আহম্মদ বায়েজিদ (৩৭) চট্টগ্রাম বন্দরের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগে গ্রিজার পদে কর্মরত। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। বাসা চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাটে বন্দর আবাসিক কলোনিতে।
পুলিশ জানায়, বন্দরের চাকরিজীবী বায়েজিদ দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে বন্দর থানার এসআই পরিচয় দিয়ে মানুষের থেকে চাঁদা দাবি করতো। মূলত মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতারাই ছিলো বায়েজিদের মূল টার্গেট। মাদকসেবন করে এমন দুজন থেকে ৯ হাজার ৪শ’ টাকা আত্মসাৎ করে সে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর থানার এসআই রাজ্জাকুল ইসলাম রুবেল তাকে আটক করেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার জানান, বন্দর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে ইশতিয়াক বন্দর ভবনের আশপাশ থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে আসছিলেন। নগরের ফকিরহাট এলাকায় নুরে আজমির রেস্তোঁরার মালিক মো. মহিউদ্দিনের কাছ থেকে দুই হাজার চারশ টাকা হাতিয়ে নেন। তার পাশের জসিম নামে এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে বিকাশে সাত হাজার টাকা নেন।
ওসি আরও বলেন, ‘জসিম বিকাশে দেওয়া টাকা না পেয়ে থানায় এসে যোগাযোগ করেন। আমাদের থানায় এসআই রফিক নামে কেউ নেই। তখন আমরা বুঝতে পারি, পুলিশের এসআই সেজে জসিমের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। জসিম শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে মামলা দায়ের করেন। আমরা ইশতিয়াককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছি।’
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।