পেকুয়ায় যুবককে হত্যাচেষ্টা: ২০ জনকে আসামি করে মামলা
পেকুয়ার মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী ফরহাদ খান টিপুকে (৩৬) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ২০ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আহত টিপুর পিতা মো. আবু তালেব বাদি হয়ে রবিবার (৩ মার্চ) পেকুয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মগনামা বাজার পাড়ার নুর মুহাম্মদ মাদু (৫০), লোকমান হাকিম (৩২), আবু ছালেক (৪৮), নোমান উদ্দিন (৩৯), খোকন প্রকাশ লাইকা (২২), মো.মানিক (২৪), মফিজুর রহমান (২১), তৌহিদ প্রকাশ কালু (২০), মনির (১৯), আবদুল খালেক (৩৫), কায়সার (৩২), জয়নাল আবেদীন (৪২), নুরুচ্ছফি (৩৫), আবদুল মজিদ (৪৫), নেজাম উদ্দিন, বারেক আজিজ (১৯), জামাল উদ্দিন (৪০) ও ফোরকান (৩০)।
জানা গেছে, ফরহাদ খান টিপু মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী। সে সুবাধে আসামিরা তাকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দেয়। কয়েকবার তাকে হত্যার চেষ্টাও চালায়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম টিপু পেকুয়া চৌমুহনী থেকে মগনামা বাজার পাড়ায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বাজার পাড়া বায়তুল মামুন জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে মৃত ভেবে তাকে পাশের একটি খালের ধারে রাত ১২টার দিকে রেখে চলে যায়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে টিপু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার বাদি আবু তালেব বলেন, টিপুর অবস্থা খুবই খারাপ। তারা আমার ছেলেকে খুন করতে চেয়েছিল। ডাক্তার বলছে- তার শরীরের তিনটি জায়গায় অপারেশন করাতে হবে। পায়ের অপারেশন হয়েছে। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন টিপু।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।