অর্থনীতি

পোশাক খাতে অস্থিরতার পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে: বিটিএমএ

আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুরসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোর পোশাক কারখানাতে সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন টেক্সটাইল শিল্প উদ্যোক্তারা।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পান্থপথে ইউটিসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) নেতরা। দুপুরে বিটিএমএর বোর্ড সভার আগে দেশের টেক্সটাইল শিল্প খাতের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা।

এ সময় বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘আমাদের টেক্সটাইল মিলের মালিকরা শত অসুবিধা সত্ত্বেও সময়মতোই সব বেতন ভাতা পরিশোধ করছেন। কিন্তু আমরা এখন ষড়যন্ত্রের মধ্যে পড়ে গেছি। কারখানাগুলোর সামনে পঞ্চাশ-একশজনের বহিরাগত দল এসে উত্তেজনা তৈরি করে। এদের দমনে প্রশাসনকে আন্তরিক হতে হবে।’

এ সময় পোশাক খাতের অস্থিরতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিটিএমএ নেতারা বলেন, ‘দেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে অস্থিরতা চলছে। এর পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে। আমাদের কাছে এর প্রমাণও রয়েছে।’

তারা আরও বলেন, স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ কারখানাগুলোর সামনে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় ইন্ধন দিচ্ছেন। এর আগে ২০০৬ সালেও দেশের কারখানাগুলোয় অস্থিরতা তৈরি করা হয় বিদেশি ষড়যন্ত্রে। এরই পুনরাবৃত্তি এখনও ঘটছে।

বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্টরা কারখানাগুলোতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও আগুন লাগানোর পেছনে জড়িত উল্লেখ করে বিটিএমএ নেতারা বলেন, এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কোন কোন আইডি থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিল্পাঞ্চলগুলোতে অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে ভাঙচুর শুরু করা হয়। একই ধরনের লাঠি ও হ্যামার হাতে একটি গ্রুপ কারখানাগুলোতে ভাঙচুরের চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিটিএমএ নেতারা বলেন, তাদের কাউকেই স্থানীয়রা এবং কারখানার শ্রমিকরা চেনেন না। এরাই হলো বিদেশি এজেন্টদের লোক। যাদের কেউ চেনে না। কারখানায় অসন্তোষ দেখা দিলেও শ্রমিকরা কখনই কারখানার মেশিন ভাঙচুর করে না। কিন্তু এই অচেনা দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারীদের উদ্দেশ্যই থাকে কারখানার মেশিন ভাঙচুর।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএর ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম, শামীম ইসলাম, সালেউদ জামান খান, পরিচালক, মোশারফ হোসেন, আজাহার খান, এম সোলায়মান, বিএম শোয়েব, মো. মনির হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মতিউর রহমান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *