প্রতিদিন এক চামচ ঘি খাবেন যে কারণে
ঘি তার স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য পরিচিত। পোলাও, জর্দা, হালুয়া, বিরিয়ানি, কোর্মা, রোস্টসহ নানা মজাদার রান্নায় এই উপাদান ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ঘি এড়িয়ে চলেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো কেবল সুগন্ধ কিংবা স্বাদই নয়, ঘিয়ের আছে অনেক পুষ্টিগুণও। আপনি যদি প্রতিদিন এক চা চামচ করে ঘি খান তাহলে মিলবে নানা উপকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন এক চা চামচ ঘি খেলে কী হয়-
চুল সুন্দর করে
সুন্দর চুল পেতে কে না চায়! আমাদের সবারই আকাঙ্ক্ষা সুস্থ ও সুন্দর চুলের। আপনি যদি চান আপনার চুলগুলো আরও মজবুত এবং ঝলমলে হোক, তাহলে নিয়মিত ঘি খাওয়ার অভ্যাস করুন। বেশি নয়, দিনে মাত্র এক চামচ ঘি খেলেই তা আপনার চুল সুন্দর করার জন্য যথেষ্ট। এতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড। আর এই উপাদানগুলোই চুলকে মজবুত ও উজ্জ্বল রাখে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাইলে নিয়মিত ঘি খাওয়ার অভ্যাস করুন। বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে পুষ্টি বেশি পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে এক চা চামচ ঘি খেয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত খেলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
আমাদের সুস্থতার জন্য অন্ত্র ভালো রাখা খুব জরুরি। তাই খেতে হবে হজমে সহায়ক সব খাবার। ঘিয়ে থাকে বিউটারিক অ্যাসিড। এই উপাদান অন্ত্র সুস্থ রাখতে কাজ করে। নিয়মিত ঘি খেলে অন্ত্রের দেওয়াল মসৃণ হয়। যে কারণে পেটের নানা সমস্যা যেমন পেট ফুলে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়।
জয়েন্ট পেইন দূর করে
আমাদের হাড়কে নমনীয় করে রাখে এক ধরনের তরল। সেই তরলের ক্ষয় হলে জয়েন্ট ব্যথা বাড়তে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত ঘি খান তবে জয়েন্টে প্রয়োজনীয় সেই তরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে জয়েন্ট ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। তাই এ ধরনের সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিন এক চা চামচ ঘি খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘি যেন খাটি হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সবচেয়ে ভালো হয় বাড়িতে তৈরি করা ঘি খেতে পারলে।