আন্তর্জাতিক

প্রতিদিন ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলায় আরও ২৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৭ হাজার। ইসরায়েলের এই হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

স্থানীয় সময় রোববার (০৯ জুন) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৮৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে গত ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল রবিবার (০৯ জুন) পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ১৫০ জন করে সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮৪ হাজার ৪৯৪ জন। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৮৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮১৪ জন।

এদিকে, গাজার কেন্দ্রস্থলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল সেনাবাহিনী। এ অভিযানে হামাসের কাছে জিম্মিদের মধ্যে কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হামাসের সামরিক শাখা আল কাশেম ব্রিগেডস।

ওই শিবিরে হামলা চালিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে ইসরাইল বাহিনী। এ অভিযানে তারা চারজন জিম্মিকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে।

হামাসের সামরিক শাখা আল কাশেম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবায়দা টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকজন জিম্মি নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ‘অনেক সংখ্যক ভুক্তভোগী মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে রয়েছেন এবং অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স ক্রুরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *